ছুটি না নেওয়ায় জরিমানা!
সপ্তাহের সাত দিনই কি কাজ করা যায়? একটু ছুটি না পেলে কি চলে! চাকরিজীবীরা তো চাতক পাখির মতো বসে থাকেন সপ্তাহান্তের ওই একটি দিনের জন্য। ছুটির দিনের জন্য জমে থাকে নানা কাজ। আবার অনেকে শুধু অবকাশেই কাটিয়ে দেন আকাঙ্ক্ষিত দিনটি।
তবে শুধু চাকরিজীবীরা নন। ব্যবসায়ীরাও ছুটি কাটাতে চান।
সারাক্ষণ কাজ করতে কাঁহাতক ভালো লাগে, বলুন? অথচ ফ্রান্সের ব্যবসায়ী সিডরিচ ভাইভার ছুটি চান না! তিনি অবিরত কাজ করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাদ সেধেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ছুটি নিতে না চাওয়ায় ৩ হাজার ৬০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে নিয়ম আছে, প্রতি সপ্তাহে একদিন ছুটি নিতেই হবে।
এমনকি নিজে ব্যবসায়ী হলেও ছুটি নিতে হবে। প্যারিসের ১২০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে লুজিনি-সার-বারসের লেক বেকি এলাকায় থাকেন সিদরিচ ভাইভার। সেটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা। সেখানে তাঁর একটি বেকারি আছে।
গ্রীষ্মকালে লেক বেকিতে পর্যটকের বেশ ভিড় থাকে। এই সময়টাতে সপ্তাহের প্রতি দিনই রমরমা ব্যবসা হয় সিদরিচের। তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সরকারি আইন অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন ছুটি নেন। কিন্তু ব্যবসা ভালো চলছিল বলে সম্প্রতি সাত দিনই কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন মালিক সিদরিচ। আর তা করতে গিয়েই কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
ছুটি না নেওয়ায় জরিমানা দিতে হয় ৩ হাজার ৬০০ ডলার।
বেকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সারা রাত ধরে কাজ করানোর অভিযোগ আছে ফ্রান্সে। এ কারণে সেই দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেশ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। মূলত শ্রমিকেরা যেন শোষণের শিকার না হোন-সেটি নিশ্চিত করতেই ছুটি না নিলে জরিমানার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
ওই শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান ব্রানলে বলেন, ‘এ ধরনের আইন আমাদের এলাকার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যখন পর্যটকের ভিড় থাকে তখন এ ধরনের আইন ব্যবসায় বাধা তৈরি করে। পর্যটকেরা যে সময়ে সেবা চান, তখনই তা সরবরাহ করতে দেওয়া উচিত।’
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে আরও বলা হয়েছে, অনেক ভোক্তা এ ধরনের আইনকে ‘বিরক্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
এরই মধ্যে সপ্তাহে টানা সাত দিন কাজ করার অধিকার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন অনেকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে করা এ ধরনের এক আবেদনে সাক্ষর করেছেন পাঁচ শরও বেশি মানুষ।
তবে শুধু চাকরিজীবীরা নন। ব্যবসায়ীরাও ছুটি কাটাতে চান।
সারাক্ষণ কাজ করতে কাঁহাতক ভালো লাগে, বলুন? অথচ ফ্রান্সের ব্যবসায়ী সিডরিচ ভাইভার ছুটি চান না! তিনি অবিরত কাজ করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাদ সেধেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ছুটি নিতে না চাওয়ায় ৩ হাজার ৬০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সে নিয়ম আছে, প্রতি সপ্তাহে একদিন ছুটি নিতেই হবে।
এমনকি নিজে ব্যবসায়ী হলেও ছুটি নিতে হবে। প্যারিসের ১২০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে লুজিনি-সার-বারসের লেক বেকি এলাকায় থাকেন সিদরিচ ভাইভার। সেটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা। সেখানে তাঁর একটি বেকারি আছে।
গ্রীষ্মকালে লেক বেকিতে পর্যটকের বেশ ভিড় থাকে। এই সময়টাতে সপ্তাহের প্রতি দিনই রমরমা ব্যবসা হয় সিদরিচের। তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সরকারি আইন অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন ছুটি নেন। কিন্তু ব্যবসা ভালো চলছিল বলে সম্প্রতি সাত দিনই কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন মালিক সিদরিচ। আর তা করতে গিয়েই কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
ছুটি না নেওয়ায় জরিমানা দিতে হয় ৩ হাজার ৬০০ ডলার।
বেকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সারা রাত ধরে কাজ করানোর অভিযোগ আছে ফ্রান্সে। এ কারণে সেই দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেশ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। মূলত শ্রমিকেরা যেন শোষণের শিকার না হোন-সেটি নিশ্চিত করতেই ছুটি না নিলে জরিমানার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
ওই শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান ব্রানলে বলেন, ‘এ ধরনের আইন আমাদের এলাকার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যখন পর্যটকের ভিড় থাকে তখন এ ধরনের আইন ব্যবসায় বাধা তৈরি করে। পর্যটকেরা যে সময়ে সেবা চান, তখনই তা সরবরাহ করতে দেওয়া উচিত।’
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে আরও বলা হয়েছে, অনেক ভোক্তা এ ধরনের আইনকে ‘বিরক্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
এরই মধ্যে সপ্তাহে টানা সাত দিন কাজ করার অধিকার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন অনেকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে করা এ ধরনের এক আবেদনে সাক্ষর করেছেন পাঁচ শরও বেশি মানুষ।
ফিলিপাইনে বাড়ির উপরে প্লেন বিধ্বস্ত, নিহত ১০
ফিলিপাইনে উড্ডয়নের সময় একটি ছোট প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে একটি বাড়ির উপর আছড়ে পড়ে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। শনিবার দেশটির প্লারিডেল শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্লারিডেল শহরের পুলিশ সুপার জুলিও লিজারর্দো বলেন, দুই ইঞ্জিনের ছোট ওই প্লেনটি উড্ডয়নের পরপরই একটি বাড়ির উপরে আছড়ে পড়ে। এতে প্লেনে থাকা ৫ যাত্রী, ওই বাড়িতে অবস্থান করা তিন শিশু এবং তাদের মা ও দাদি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার কর্মীরা সেখানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় এক চার্টার কোম্পানি পরিচালিত পিএ-২৩ অ্যাপাচি বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়ে সে ব্যপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। সূত্র: খালিজ টাইম ও গালফ নিউজ।
প্লারিডেল শহরের পুলিশ সুপার জুলিও লিজারর্দো বলেন, দুই ইঞ্জিনের ছোট ওই প্লেনটি উড্ডয়নের পরপরই একটি বাড়ির উপরে আছড়ে পড়ে। এতে প্লেনে থাকা ৫ যাত্রী, ওই বাড়িতে অবস্থান করা তিন শিশু এবং তাদের মা ও দাদি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার কর্মীরা সেখানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় এক চার্টার কোম্পানি পরিচালিত পিএ-২৩ অ্যাপাচি বিমানটি কী কারণে বিধ্বস্ত হয়ে সে ব্যপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। সূত্র: খালিজ টাইম ও গালফ নিউজ।
চতুর্থ মেয়াদে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল
চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। বুধবার শপথ নেন তিনি। ১৪ মার্চ, ২০১৮, জার্মানি। ছবি: রয়টার্সlচতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল।
জোট গঠন নিয়ে প্রায় ছয় মাস অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকার পর অবশেষে দেশটির সর্বোচ্চ পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আজ বুধবার জার্মান পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে ম্যার্কেলকে চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের চ্যান্সেলর হিসেবে এটিই তাঁর সর্বশেষ মেয়াদ।
জার্মানির পার্লামেন্টের নাম রাইখস্ট্যাগ। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বার্লিনে রাইখস্ট্যাগের অধিবেশনে ম্যার্কেলের পক্ষে পড়ে ৩৬৪ ভোট। আর বিপক্ষে পড়েছে ২১৫ ভোট। পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার তাঁকে চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেন।
বুন্দেসটাগে একটি সাদা রঙের ব্লেজার পরে উপস্থিত হয়েছিলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি বলেন, ‘আমি ভোটের ফলাফল গ্রহণ করছি।’ এরপরই বুন্দেসটাগে উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে ম্যার্কেলকে স্বাগত জানান। এ সময় ম্যার্কেলের স্বামী ও ৮৯ বছর বয়সী মা উপস্থিত ছিলেন।
জার্মানিতে সম্প্রতি একটি ডানপন্থী দল বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই দলটি শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় দুর্বল হয়ে পড়েছিল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এতে ম্যার্কেলের আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া হয়নি। চ্যান্সেলর হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সঙ্গে জোট গঠন করতে হয় ম্যার্কেলকে।
তবে এই জোটে থাকা দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া খুব ভালো নয়। অনেকে ধারণা করছেন, জোট ভেঙে যেতে পারে এবং দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হতে পারে।
জোট গঠন নিয়ে প্রায় ছয় মাস অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকার পর অবশেষে দেশটির সর্বোচ্চ পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আজ বুধবার জার্মান পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে ম্যার্কেলকে চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের চ্যান্সেলর হিসেবে এটিই তাঁর সর্বশেষ মেয়াদ।
জার্মানির পার্লামেন্টের নাম রাইখস্ট্যাগ। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বার্লিনে রাইখস্ট্যাগের অধিবেশনে ম্যার্কেলের পক্ষে পড়ে ৩৬৪ ভোট। আর বিপক্ষে পড়েছে ২১৫ ভোট। পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টেইনমেয়ার তাঁকে চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেন।
বুন্দেসটাগে একটি সাদা রঙের ব্লেজার পরে উপস্থিত হয়েছিলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি বলেন, ‘আমি ভোটের ফলাফল গ্রহণ করছি।’ এরপরই বুন্দেসটাগে উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে ম্যার্কেলকে স্বাগত জানান। এ সময় ম্যার্কেলের স্বামী ও ৮৯ বছর বয়সী মা উপস্থিত ছিলেন।
জার্মানিতে সম্প্রতি একটি ডানপন্থী দল বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই দলটি শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় দুর্বল হয়ে পড়েছিল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এতে ম্যার্কেলের আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া হয়নি। চ্যান্সেলর হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সঙ্গে জোট গঠন করতে হয় ম্যার্কেলকে।
তবে এই জোটে থাকা দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া খুব ভালো নয়। অনেকে ধারণা করছেন, জোট ভেঙে যেতে পারে এবং দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হতে পারে।
কেন নোবেল পেলেন না স্টিফেন হকিং?
হুইলচেয়ারে বসা। ডান দিকে ঘাড় হেলানো। হাতটা রাখা থাকতো হুইলচেয়ারের হাতলের উপর। বহু বছর ধরে বিশ্ববাসী এভাবেই দেখছে তাকে। তিনি স্টিফেন হকিং। বিস্ময়কর এক প্রতিভার নাম। তত্বীয় পদার্থবিদ্যার এই দিকপাল ৭৬ বছর বয়সে বুধবার মৃত্যুবরণ করেন।
অনন্য প্রতিভাধর পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বিশ্বকে দিয়েছেন অনেক কিছু।
ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য তার খ্যাতি জগতজুড়ে। মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য 'বিগ ব্যাং থিউরি'র প্রবক্তাও তিনি। ১৯৮৮ সালে 'এ ব্রিফ অব টাইম' বইয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠেন হকিং। সেখানে তিনি মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে তত্ত্ব দেন।
আইনস্টাইনের পর হকিংকে বিখ্যাত পদার্থবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রিন্স অব অস্ট্রিয়ান্স পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার, উলফ পুরস্কার, কোপলি পদক, এডিংটন পদক, হিউ পদক, আলবার্ট আইনস্টাইন পদকসহ এক ডজনের বেশি ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি।
এত পুরস্কার, এত স্বীকৃতির পরও স্টিফেন হকিং নোবেল পুরস্কার পাননি। কেন পাননি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার।
এ প্রসঙ্গে অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন, হকিংয়ের তত্ত্ব যদিও সারা বিশ্ব গ্রহণ করেছে, কিন্তু নোবেল কমিটির স্বীকৃতি পেতে হলে যথেষ্ট পর্যবেক্ষণযোগ্য তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকায় দ্য সায়েন্স অব লিবার্টির লেখক টিমথি ফেরিস লিখেছিলেন, যদিও তত্ত্বীয় পাদার্থবিদ্যায় তার ব্ল্যাক হোল ও থিউরি যথেষ্টই প্রতিষ্ঠিত, তবুও তার এই তত্ত্ব প্রমাণ করার কোনো উপায় ছিল না। যদি কোনোভাবে তার সেই তত্ত্ব প্রমাণ করা যেতো তাহলে হয়তো তিনি নোবেল পেতেন।
ফেরিস তার লেখায় আরও বলেন, এই তত্ত্ব প্রমাণ করা বর্তমানে প্রায় অসম্ভব। কারণ তারার আকারের প্রথম ব্ল্যাক হোল বিস্ফোরণে এখনও কয়েক লাখ কোটি বছর বাকি রয়েছে।
ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি বের হবে যার মাধ্যমে হকিংয়ের তত্ত্বগুলো প্রমাণ করা যাবে; কিন্তু হকিং থেকে যাবেন সকলের নাগালের বাইরে।
অনন্য প্রতিভাধর পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বিশ্বকে দিয়েছেন অনেক কিছু।
ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য তার খ্যাতি জগতজুড়ে। মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য 'বিগ ব্যাং থিউরি'র প্রবক্তাও তিনি। ১৯৮৮ সালে 'এ ব্রিফ অব টাইম' বইয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠেন হকিং। সেখানে তিনি মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে তত্ত্ব দেন।
আইনস্টাইনের পর হকিংকে বিখ্যাত পদার্থবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রিন্স অব অস্ট্রিয়ান্স পুরস্কার, জুলিয়াস এডগার লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার, উলফ পুরস্কার, কোপলি পদক, এডিংটন পদক, হিউ পদক, আলবার্ট আইনস্টাইন পদকসহ এক ডজনের বেশি ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি।
এত পুরস্কার, এত স্বীকৃতির পরও স্টিফেন হকিং নোবেল পুরস্কার পাননি। কেন পাননি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার।
এ প্রসঙ্গে অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন, হকিংয়ের তত্ত্ব যদিও সারা বিশ্ব গ্রহণ করেছে, কিন্তু নোবেল কমিটির স্বীকৃতি পেতে হলে যথেষ্ট পর্যবেক্ষণযোগ্য তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পত্রিকায় দ্য সায়েন্স অব লিবার্টির লেখক টিমথি ফেরিস লিখেছিলেন, যদিও তত্ত্বীয় পাদার্থবিদ্যায় তার ব্ল্যাক হোল ও থিউরি যথেষ্টই প্রতিষ্ঠিত, তবুও তার এই তত্ত্ব প্রমাণ করার কোনো উপায় ছিল না। যদি কোনোভাবে তার সেই তত্ত্ব প্রমাণ করা যেতো তাহলে হয়তো তিনি নোবেল পেতেন।
ফেরিস তার লেখায় আরও বলেন, এই তত্ত্ব প্রমাণ করা বর্তমানে প্রায় অসম্ভব। কারণ তারার আকারের প্রথম ব্ল্যাক হোল বিস্ফোরণে এখনও কয়েক লাখ কোটি বছর বাকি রয়েছে।
ভবিষ্যতে হয়তো এমন প্রযুক্তি বের হবে যার মাধ্যমে হকিংয়ের তত্ত্বগুলো প্রমাণ করা যাবে; কিন্তু হকিং থেকে যাবেন সকলের নাগালের বাইরে।
রুশ গুপ্তচর হত্যাচেষ্টায় 'নার্ভ এজেন্ট' প্রয়োগে তোলপাড়
ব্রিটেনের পুলিশ বলছে, একজন সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যার চেষ্টায় স্নায়ুকে আঘাতকারী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই রুশ গোয়েন্দা ও তার মেয়েকে রোববার একটি পার্কে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধারে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক যা স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল বা অকার্যকর করে দিতে পারে এবং এতে দৈহিক কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত মুখ অথবা নাক দিয়ে এই রাসায়নিক দেহে প্রবেশ করানো হয়। তবে চোখ বা ত্বক তা শোষণ করতে পারে।
কাউন্টার টেররিজম পুলিশিং ইউনিটের প্রধান মার্ক রাউলি বলেছেন, সরকারি বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন যে তাদের ক্ষেত্রে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এ পর্যায়ে তারা খবরটিকে উন্মুক্ত করতে চান না। তিনি জানান, বিষয়টি অনেক বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে 'হত্যাচেষ্টার' সন্দেহ করা হচ্ছে।
২০০৬ সালে লন্ডনে রাশিয়ার আরেকজন গুপ্তচর আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল।
নার্ভ এজেন্ট সাধারণভাবে 'ক্রিমিনাল গ্যাং' বা 'সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো' তৈরি করতে পারে তেমনটি নয়। বিশেষ গবেষণাগারে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এই রাসায়নিক উৎপাদন করা হয়।
তবে স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার জন্য অবশ্যম্ভাবীভাবে সন্দেহের তীর রাশিয়ার দিকে। কারণ তাদের শত্রুদের বিষ প্রয়োগে হত্যার রেকর্ডই শুধু নয়, সের্গেই স্কিপ্রালের ঘটনার সঙ্গে অন্য মোটিভও আছে।
রাশিয়ার একজন সামরিক গোয়েন্দা হিসেবে নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইউরোপে রুশ এজেন্টদের সম্পর্কে স্ক্রিপালের বিরুদ্ধে এমআইসিক্সকে তথ্য দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ দিন আগে যে দোকানে ৬৬ বছর বয়সী স্ক্রিপাল ও তার ৩৩ বছর বয়সী মেয়ে পড় গিয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে।
রাউলি জানান, কয়েকশ' গোয়েন্দা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে এর তদন্ত শেষ হতে আরও ক'দিন লেগে যাবে। সূত্র: বিবিসি
ওই রুশ গোয়েন্দা ও তার মেয়েকে রোববার একটি পার্কে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধারে যাওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক যা স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল বা অকার্যকর করে দিতে পারে এবং এতে দৈহিক কর্মক্ষমতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণত মুখ অথবা নাক দিয়ে এই রাসায়নিক দেহে প্রবেশ করানো হয়। তবে চোখ বা ত্বক তা শোষণ করতে পারে।
কাউন্টার টেররিজম পুলিশিং ইউনিটের প্রধান মার্ক রাউলি বলেছেন, সরকারি বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন যে তাদের ক্ষেত্রে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এ পর্যায়ে তারা খবরটিকে উন্মুক্ত করতে চান না। তিনি জানান, বিষয়টি অনেক বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে 'হত্যাচেষ্টার' সন্দেহ করা হচ্ছে।
২০০৬ সালে লন্ডনে রাশিয়ার আরেকজন গুপ্তচর আলেকজান্ডার লিটভিনেঙ্কোকে বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছিল।
নার্ভ এজেন্ট সাধারণভাবে 'ক্রিমিনাল গ্যাং' বা 'সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো' তৈরি করতে পারে তেমনটি নয়। বিশেষ গবেষণাগারে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এই রাসায়নিক উৎপাদন করা হয়।
তবে স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার জন্য অবশ্যম্ভাবীভাবে সন্দেহের তীর রাশিয়ার দিকে। কারণ তাদের শত্রুদের বিষ প্রয়োগে হত্যার রেকর্ডই শুধু নয়, সের্গেই স্কিপ্রালের ঘটনার সঙ্গে অন্য মোটিভও আছে।
রাশিয়ার একজন সামরিক গোয়েন্দা হিসেবে নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইউরোপে রুশ এজেন্টদের সম্পর্কে স্ক্রিপালের বিরুদ্ধে এমআইসিক্সকে তথ্য দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ দিন আগে যে দোকানে ৬৬ বছর বয়সী স্ক্রিপাল ও তার ৩৩ বছর বয়সী মেয়ে পড় গিয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে।
রাউলি জানান, কয়েকশ' গোয়েন্দা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, বিশ্লেষক এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে এর তদন্ত শেষ হতে আরও ক'দিন লেগে যাবে। সূত্র: বিবিসি
বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-কিম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বৈঠক করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী মে মাসে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হতে পারে। খবর বিবিসি
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যকার বৈঠকের তারিখ ও স্থান খুব শিগগিরই ঠিক করা হবে। এ বিষয়ে আমরা উত্তর কোরিয়ার আরও পদক্ষেপের আশা করছি। তবে উত্তর কোরিয়ার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ এখনই কমছে না।’
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করার পর এই সুখবরটি আসে। এসময় তারা কিম জং উনের একটি আমন্ত্রণপত্র ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেন।
বৈঠকের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়ে ট্রাম্প এরইমধ্যে টুইট করেছেন। টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী। কিম জং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কথা বলেছেন। বৈঠক হওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিনিধি দলটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যায়।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যকার বৈঠকের তারিখ ও স্থান খুব শিগগিরই ঠিক করা হবে। এ বিষয়ে আমরা উত্তর কোরিয়ার আরও পদক্ষেপের আশা করছি। তবে উত্তর কোরিয়ার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ এখনই কমছে না।’
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করার পর এই সুখবরটি আসে। এসময় তারা কিম জং উনের একটি আমন্ত্রণপত্র ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেন।
বৈঠকের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়ে ট্রাম্প এরইমধ্যে টুইট করেছেন। টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী। কিম জং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কথা বলেছেন। বৈঠক হওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিনিধি দলটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যায়।
চা বেচে মাসে আয় ১২ লাখ রুপি!
চা বেচে কত আয় হতে পারে একজন চায়ের দোকানদারের। ধরলাম ১ থেকে দুই হাজার টাকা। তাই বলে মাসে চা বেচেই ১২ লাখ রুপি আয়! চমকে দেওয়ার মতই খবর বটে।
ভারতের পুণের নবনাথ ইউলে এমন কীর্তি গড়েছেন; যা নিয়ে খবর বেরিয়েছে স্থানীয় পত্রিকায়।
পুনে শহরে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান দিয়ে নিজের চলার মত একটা মাথা গোজার ঠাঁই হয় ইউলের। শুরুতে আয় হতো সামান্য এবং তা দিয়ে তার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নন। যা ভাবা তাই কাজ, তিনি নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে থাকেন। এরপরে আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
অবশেষে সাফল্য আসতে শুরু হয়। চায়ের পাশাপাশি তার দোকানে পাওয়া যায় নানা ধরনের চপ। বর্তমানে পুণে শহরজুড়ে তিনটি চায়ের স্টল রয়েছে ইউলের। প্রতিটি স্টলে ১২ জন কর্মী কাজ করেন।
ইউলের দাবি, চায়ের দোকান করে এই পর্যায়ে ব্যবসা করা সম্ভব খুব সহজেই। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। এখন তার স্বপ্ন, আগামী দিনে ভারতের বাইরেও নিজের চায়ের স্টল খোলা। খবর জি-নিউজের
ভারতের পুণের নবনাথ ইউলে এমন কীর্তি গড়েছেন; যা নিয়ে খবর বেরিয়েছে স্থানীয় পত্রিকায়।
পুনে শহরে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান দিয়ে নিজের চলার মত একটা মাথা গোজার ঠাঁই হয় ইউলের। শুরুতে আয় হতো সামান্য এবং তা দিয়ে তার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নন। যা ভাবা তাই কাজ, তিনি নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে থাকেন। এরপরে আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
অবশেষে সাফল্য আসতে শুরু হয়। চায়ের পাশাপাশি তার দোকানে পাওয়া যায় নানা ধরনের চপ। বর্তমানে পুণে শহরজুড়ে তিনটি চায়ের স্টল রয়েছে ইউলের। প্রতিটি স্টলে ১২ জন কর্মী কাজ করেন।
ইউলের দাবি, চায়ের দোকান করে এই পর্যায়ে ব্যবসা করা সম্ভব খুব সহজেই। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। এখন তার স্বপ্ন, আগামী দিনে ভারতের বাইরেও নিজের চায়ের স্টল খোলা। খবর জি-নিউজের
চার মিনিটে মাইল পেরোনো মানবের মৃত্যু
স্যার রজার ব্যানস্টার। চার মিনিটে দৌড়ে প্রথম এক মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে বিশ্বের দ্রুততম মানব হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন। সেই দ্রুতমানব না-ফেরার দেশে চলে গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
রজার ব্যানস্টারের পরিবারের বরাত দিয়ে রোববার বিবিসি জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে শনিবার মারা গেছেন। ২০১১ থেকে তিনি পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন।
খবরে বলা হয়, ১৯৫৪ সালের ৬ মে অক্সফোর্ডের ইফলি রোড স্পোর্টস গ্রাউন্ডে রজার ব্যানস্টার ৩ মিনিট ৫৮ দশমিক ৪ সেকেন্ড সময়ে এক মাইল পেরিয়ে রেকর্ড গড়েন। ওই বছরই তিনি কমনওয়েলথ গেমসে একই দূরত্ব অতিক্রম করে সোনা জয় করেন।
১৯৮১ সালে ৩ মিনিট ৪৭ দশমিক ৩৩ সেকেন্ডে এক মাইল দৌড়ে নতুন রেকর্ড করেন ক্রীড়াবিদ লর্ড কো। তিনি বলেন, ‘অ্যাথলেটের সবার জন্য এবং আমাদের জাতির জন্য এই দিনটি বেদনার। আমার প্রজন্মের কোনো ক্রীড়াবিদ নেই, যিনি রজার এবং তাঁর অর্জনে অনুপ্রাণিত হননি।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে রজার ব্যানস্টারকে স্মরণ করে বলেন, ‘ব্রিটিশ ক্রীড়া তারকা রজারের অর্জন আমাদের সবাইকে উৎসাহিত করেছে। তাঁর কথা আমাদের মনে থাকবে।’
রজার ব্যানস্টারের পরিবারের বরাত দিয়ে রোববার বিবিসি জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে শনিবার মারা গেছেন। ২০১১ থেকে তিনি পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন।
খবরে বলা হয়, ১৯৫৪ সালের ৬ মে অক্সফোর্ডের ইফলি রোড স্পোর্টস গ্রাউন্ডে রজার ব্যানস্টার ৩ মিনিট ৫৮ দশমিক ৪ সেকেন্ড সময়ে এক মাইল পেরিয়ে রেকর্ড গড়েন। ওই বছরই তিনি কমনওয়েলথ গেমসে একই দূরত্ব অতিক্রম করে সোনা জয় করেন।
১৯৮১ সালে ৩ মিনিট ৪৭ দশমিক ৩৩ সেকেন্ডে এক মাইল দৌড়ে নতুন রেকর্ড করেন ক্রীড়াবিদ লর্ড কো। তিনি বলেন, ‘অ্যাথলেটের সবার জন্য এবং আমাদের জাতির জন্য এই দিনটি বেদনার। আমার প্রজন্মের কোনো ক্রীড়াবিদ নেই, যিনি রজার এবং তাঁর অর্জনে অনুপ্রাণিত হননি।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে রজার ব্যানস্টারকে স্মরণ করে বলেন, ‘ব্রিটিশ ক্রীড়া তারকা রজারের অর্জন আমাদের সবাইকে উৎসাহিত করেছে। তাঁর কথা আমাদের মনে থাকবে।’
মানিক সরকারকে বাংলাদেশে নির্বাসনে পাঠাতে চায় বিজেপি
ভারতের বিশিষ্ট বাম রাজনীতিক ও দেশটির ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে বাংলাদেশে নির্বাসনে পাঠানোর কথা বলেছেন বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। তার মতে, মানিক সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা অথবা বাংলাদেশে নির্বাসনে পাঠানো যেতে পারে। খবর আজকালের।
১৯৯৮ সাল থেকে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বামপন্থী নেতা মানিক সরকার। কমিউনিস্ট পার্টি সিপিএমের পলিট ব্যুরোর সদস্যও তিনি। এছাড়াও পর পর ৪ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৬৯ বছর বয়সী এই বাম নেতা। আর তার পরাজয়ের পর বামেদের একমাত্র আশার আলো এখন কেরালা।
কিন্তু ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর তাকে আর ত্রিপুরায় না থাকতে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির উত্তর–পূর্বের স্ট্র্যাটেজি মেকার হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। একই সঙ্গে তাকে কোথায় পাঠানো যেতে পারে তারও নির্দেশনা দিয়েছেন হেমন্ত।
এক্ষেত্রে হেমন্তের প্রথম পছন্দ পশ্চিমবঙ্গ। কারণ সেখানে এখনও বামদের কিছু অস্তিত্ব আছে। দ্বিতীয় স্থানে রেখেছেন কেরালাকে। কারণ সেখানে এখনও ক্ষমতায় আছে বামেরা। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ৩ বছর সেখানে তারাই রাজত্ব করবে। আর তৃতীয় এবং সর্বশেষ পছন্দ হিসেবে বাংলাদেশকে রেখেছেন হেমন্ত।
এর আগেও কয়েকবার মানিক সরকারকে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা বলেছেন হেমন্ত। তার দাবি, মানিক সরকারের আমলেই ত্রিপুরা সীমান্তে অপরাধ বেড়ে গিয়েছিল
১৯৯৮ সাল থেকে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বামপন্থী নেতা মানিক সরকার। কমিউনিস্ট পার্টি সিপিএমের পলিট ব্যুরোর সদস্যও তিনি। এছাড়াও পর পর ৪ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৬৯ বছর বয়সী এই বাম নেতা। আর তার পরাজয়ের পর বামেদের একমাত্র আশার আলো এখন কেরালা।
কিন্তু ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর তাকে আর ত্রিপুরায় না থাকতে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির উত্তর–পূর্বের স্ট্র্যাটেজি মেকার হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। একই সঙ্গে তাকে কোথায় পাঠানো যেতে পারে তারও নির্দেশনা দিয়েছেন হেমন্ত।
এক্ষেত্রে হেমন্তের প্রথম পছন্দ পশ্চিমবঙ্গ। কারণ সেখানে এখনও বামদের কিছু অস্তিত্ব আছে। দ্বিতীয় স্থানে রেখেছেন কেরালাকে। কারণ সেখানে এখনও ক্ষমতায় আছে বামেরা। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ৩ বছর সেখানে তারাই রাজত্ব করবে। আর তৃতীয় এবং সর্বশেষ পছন্দ হিসেবে বাংলাদেশকে রেখেছেন হেমন্ত।
এর আগেও কয়েকবার মানিক সরকারকে বাংলাদেশে পাঠানোর কথা বলেছেন হেমন্ত। তার দাবি, মানিক সরকারের আমলেই ত্রিপুরা সীমান্তে অপরাধ বেড়ে গিয়েছিল
আবারও ট্রাম্পকে এড়িয়ে গেলেন মেলানিয়া
- ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে স্ত্রী মেলানিয়াকে ফেলেই বিমানে উঠেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর বিমান থেকে নামার সময়ে ট্রাম্পের ক্ষেত্রে একই আচরণ করেন ফার্স্টলেডি! শুক্রবার সকালে রেভারেন্ড বিলি গ্রাহামের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে নর্থ ক্যারোলাইনায় যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
- শুক্রবার ডুলেস বিমানবন্দর থেকে এয়ারফোর্স ওয়ানে রওনা হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডি।
- ভিডিওতে দেখা যায, ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে মেলানিয়াকে এড়িয়ে দ্রুত উড়োজাহাজে উঠছেন ট্রাম্প।
- স্বামীর এহেন আচরণের 'সমুচিত জবাব' দেন তিনিও। মেলানিয়া নর্থ ক্যরোলাইনায় নামার সময় যে আচরণ করেন, তাকে স্বামীর আচরণের পাল্টা জবাব হিসেবেই দেখছেন অনেকে।
- ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে, নর্থ ক্যারোলাইনায় পৌঁছার পর বিমান থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় ট্রাম্প মেলানিয়ার হাত ধরতে চান। কিন্তু তিনি তাতে ব্যর্থ হোন। কয়েকবারই স্ত্রীর হাত ধরতে হাত বাড়িয়ে দেন ট্রাম্প, কিন্তু মেলানিয়া তার হাত বার বার সরিয়ে নেন।
- এর আগে , ইসরাইল ও ইতালি সফরের সময় ৭১ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে একই ধরনের আচরণ করতে দেখা যায় ৪৭ বছর বয়সী মেলানিয়াকে। সূত্র: ডেইলি মেইল