কুমিল্লায় প্রেমিকের বাড়িতে সন্তান নিয়ে অনশন!
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামে শশুড়বাড়ির অধিকার অাদায়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুইদিন ধরে অনশন করছেন প্রেমিকা।বৃহস্পতিবার থেকে প্রেমিকা নিঝুম আক্তার জলি (১৮) প্রেমিক সাঈদ সজিব (২৫) বাড়িতে অনশন করে আসছে। প্রেমিকা নিঝুম অাক্তার জলি রংপুর জেলার কোতায়ালি উপজেলার অাশ্রাফপুর গ্রামের জাবেদ মিয়ার ড্রাইবারের মেয়ে।
প্রেমিক সাঈদ সজিব কুমিল্লার জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের গ্রাম্য হোমিও ডাক্তার অামিনুল ইসলাম তারু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সুত্রে জানা য়ায়, নিঝুম অাক্তার জলি ও সাঈদ সজিব তারা গত ২০১৬ সালের অাগে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় এক পর্যায়ে প্রেমিক সাঈদ বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মেয়ের বাবা তাদের প্রেমের সম্পর্ক জানতে পারলে চাপসৃষ্টি করাতে গত ১৫ জুন ২০১৬ সালে মা-বাবার অজান্তে কুমিল্লার কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে হয়। পরে সাঈদ বাড়িতে না এনে ঢাকা বাসা ভাড়া করে থাকে এবং থাকাকালীন তাদের কোলজুড়ে একটি ছেলে শিশু জম্ম নেয়। নাম রাখা হয় মো: জিয়াদ।
সম্প্রতি স্ত্রী (প্রেমিকা) নিঝুম অাক্তার জলি স্বামীর বাড়িতে অাসার চাপসৃষ্টি করিলে সাঈদ সজিব তার বাড়িতে অানিতে নারাজ হয় এবং ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন । এই বিষয়টি নিঝুমের বাবাকে অবগত করিলে রংপুর কোতায়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার নং ৩৮৬। শশুড়বাড়ির অধিকার অাদায়ের দাবিতে ১৪ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে প্রমিক সাঈদ সজিবের বাড়িতে অবস্থান করে
তার পরিবার তাতে অসম্মতি জানায়। ফলে প্রেমিকা নিঝুম অাক্তার জলি তার শশুড় অামিনুল ইসলাম তারু মিয়ার বাড়িতে বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান নিয়ে অনশন করে আসছেন। মেনে নিতে চায়নি পরিবার কেউ বরং তার বদলে এলাকার কিছু অসাধু সর্দারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেলে জিয়াদ(৬)কে রেখে ডিপোজ দেওয়া বা শেষ করার পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠিলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক ও পুলিশ চলে যায়। এমন সময় অসাধু সর্দাররা এখান থেকে পালিয়ে যায়।
প্রেমিকা নিঝুম অাক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,স্বামী সাঈদের বাড়িতে অবস্থান করার সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন আমাকে গ্রহন করিতে চায়নি বরং অামার ছেলেকে রেখে শেষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছিলো এবং ঘর থেকে বের করে দেয়। তারা ঘরে তালা লাগিয়ে চলে য়ায়। এসময় তিনি আরও বলেন, সাঈদ সজিবের সঙ্গে ঘর সংসার না করিতে পারলে নয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে আমাকে এমনটাই দাবি তার।
তিনি অারো জানান গত কয়েক বছর ধরে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় একত্রে ঘুরে বেড়িয়েছি। তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্টভাবে মেলামেশা হয়েছে এবং একটা ছেলেও হয়েছে । তাই এখন আমার আর ফিরে যাওয়ার পথ নাই। এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি কাজী খোরশেদ অালম।
এ ব্যাপারে বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে জানান, অামি ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থল অামাদের ফোর্স পাঠানো হয়েছে এবং তাদের অান্তরিক প্রচেষ্টায় গ্রামের মান্যগণ্য লোকের মাধ্যমে মেয়ে জলি’কে তার স্বামী এবং শশুড় অামিনুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শাসনগাছা ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত ঘোষণা
সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় ৬৩১.৫০ মিটার দীর্ঘ কুমিল্লাবাসীর বহুল প্রতিক্ষিত শাসনগাছা ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচলের জন্য ফ্লাইওভারটি খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন কুমিল্লা সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এর আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা ফ্লাইওভারের উদ্বোধন হবে মার্চের যে কোনো দিন। ৩ ফেব্রুয়ারি এই ফ্লাইওভারের কাজ পরিদর্শনে এসে এ কথা জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফ্লাইওভারটি ফলে কুমিল্লা নগরীর দুঃসহ যানজটের দুর্ভোগ কমবে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইওভারের ল্যাম্প লাইটিং, রেলিং ও কার্পেটসহ যাবতীয় নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ফেব্রুয়ারিতেই। বর্তমানে শুধু ফ্লাইওভারের নিচের কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শাসনগাছায় রেলক্রসিংয়ের যানজট নিরসনে ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩১.৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশি স্প্রেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কোম্পানি। নির্মাণের ধীরগতিতে এ পথে যাতায়াতকারীরা প্রতিদিনই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছিলেন।
বিশেষ করে শাসনগাছা থেকে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটসহ বিভিন্ন রুটের বাস চলাচলে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, শাসনগাছায় ফ্লাইওভারের নির্মাণে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় কাজের গতি কমে যায়।
এখন ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে সকলের জন্য খুলে দেওয়ার অপেক্ষায়।
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লার শাসনগাছা রেলগেট দিয়ে দিনে ৫২টি ট্রেন যায়। এতে দীর্ঘ যানজটে পড়ছেন নগরবাসী। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
তিনি আন্তরিক পদক্ষেপ নেওয়ায় শাসনগাছা ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়েছে। এজন্য তাকে অভিনন্দন জানাই। ফ্লাইওভারটি চালু হওয়ার ফলে কুমিল্লার মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
প্রতিদিন গড়ে ৫২ টি ট্রেই চলাচল করে শাসনগাছা রেল লাইন দিয়ে। প্রতি ট্রেনের জন্য ১০ মিনিট করে রেল গেইট পরে থাকলে দিনে ৮.৫ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। বার বার রেল গেইট আটকে থাকার কারনে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে । ফ্লাইওভারটি চালু হওয়ার ফলে ওই রাস্তায় চলাচল কারিদের এই সময় বেঁচে যাবে।
বুড়িচংয়ে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ পাশের্^ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ মার্চ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায়। খবর পেয়ে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: নজরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৩ মার্চ মঙ্গলবার সকালে কলেজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় মোসা: পপি আক্তার (১৮)। সে শংকুচাইল ডিগ্রি কলেজের এই বছর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওইদিন মাথা ব্যাথা বলে কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে চলে আসে। বাড়িতে না ফিরে স্টেশনে এসে একটি দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় একটি বোতল নিয়ে পান করতে করতে স্টেশনের দক্ষিণে চলে যেতে দেখেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
কিছুক্ষণ পরে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংগামী গোধূলী এক্সপ্রেস যাওয়ার পর পরে তার ছিন্নভিন্ন দেহের বিভিন্ন অংশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে তার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়।
পপি আক্তার জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর স্টেশন সংলগ্ন সাবেক তাজু চেয়ারম্যানের বাড়ির চা দোকানদার বাচ্চু মিয়ার দ্বিতীয় মেয়ে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার দেহেরে বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন স্থানে ছিন্নভিন্ন হয়ে পরে রয়েছে এবং তার দেহের একটি অংশ শশীদল স্টেশনের পাশের্^ থেকে রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে এসে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার মামা মান্নান মিয়া জানান, এই দিন সকালে পপি আক্তারের মা নাছিমা আক্তার ও বাবা বাচ্চু মিয়া অসুস্থ্যতার কারণে চিকিৎসা নিতে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসে।
সে সকাল বেলা অসুস্থ বাবা-মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যে ঘর থেকে বের করে তারপর সে কলেজে যায়। কলেজে গিয়ে একটি ক্লাস করে মাথা ব্যাথা বলে কলেজ থেকে চলে আসে । কিন্তু সে বাড়িতে আসেনি। দুপুরে আমরা খবর পাই পপি আক্তার ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনি সে একটি দোকান থেকে তরল পানীয় একটি বোতল নিয়ে পান করতে করতে দক্ষিণ দিকে চলে যায়। কিন্তু কি কারণে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি।
আমরাও তার মৃত্যুর কোনো সঠিক কারণ বলতে পারিনি। তবে মাঝে মধ্যে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যেত। বিভিন্ন কবিরাজের কাছে নিলে তারা বলেছেন জ¦ীনে ভর করেছেন যার কারণে পপি আক্তার এমন হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন থেকে জানা যায়, সেদিন পপি আক্তার কলেজে যেতে কোনো বই খাতা নিতে দেখিনি। তবে ওই দিন সকালে তার চলাচল স্বাভাবিক ছিল এবং সুস্থ্য মস্তিষ্কের কথাবার্তা বলতে ও চলতে দেখা যায়। সে কিছুদিন আগে ঢাকা সোনারগাও কলেজ থেকে শিক্ষা সফরে গিয়ে ছিলেন।
পাশর্^বর্তী কবিরাজ দাদা ঝাঁড়– মিয়া জানান, মাঝে মধ্যে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমিও তাকে জারফুঁ দিতাম । তবে সে একটু জেদি ছিল, হঠাৎ রেগে যেতে দেখতাম, সে দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। যার কারণে হয়ত বা তার আল্গা (জ¦ীন) ধরেছে। ওই দিন তার ছোট বোন প্রিয়া আক্তার স্কুলে চলে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। স্থানীয় এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন, আমার গাড়ি দিয়ে কলেজে প্রায় সময় যাতায়াত করতেন আমার দৃষ্টিতে তার কোনো মানুষিক সমস্যা দেখতে পাইনি।
তবে কিছু লোক ধারণা করছেন তার এই আত্মহত্যার পিছনে কোনো রাগ লুকিয়ে থাকার কারণ রয়েছে । এদিকে নিহতের বাড়ি মা-বাবা ও স্বজনদের আহাজারি এবং শোকের কালো ছায়া সকলের মাঝে নেমে এসেছে।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা খন্ডাংশ সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৩ মার্চ মঙ্গলবার সকালে কলেজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় মোসা: পপি আক্তার (১৮)। সে শংকুচাইল ডিগ্রি কলেজের এই বছর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওইদিন মাথা ব্যাথা বলে কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে চলে আসে। বাড়িতে না ফিরে স্টেশনে এসে একটি দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় একটি বোতল নিয়ে পান করতে করতে স্টেশনের দক্ষিণে চলে যেতে দেখেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
কিছুক্ষণ পরে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংগামী গোধূলী এক্সপ্রেস যাওয়ার পর পরে তার ছিন্নভিন্ন দেহের বিভিন্ন অংশ দেখতে পায়। পরবর্তীতে তার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়।
পপি আক্তার জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর স্টেশন সংলগ্ন সাবেক তাজু চেয়ারম্যানের বাড়ির চা দোকানদার বাচ্চু মিয়ার দ্বিতীয় মেয়ে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার দেহেরে বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন স্থানে ছিন্নভিন্ন হয়ে পরে রয়েছে এবং তার দেহের একটি অংশ শশীদল স্টেশনের পাশের্^ থেকে রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে এসে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার মামা মান্নান মিয়া জানান, এই দিন সকালে পপি আক্তারের মা নাছিমা আক্তার ও বাবা বাচ্চু মিয়া অসুস্থ্যতার কারণে চিকিৎসা নিতে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসে।
সে সকাল বেলা অসুস্থ বাবা-মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্যে ঘর থেকে বের করে তারপর সে কলেজে যায়। কলেজে গিয়ে একটি ক্লাস করে মাথা ব্যাথা বলে কলেজ থেকে চলে আসে । কিন্তু সে বাড়িতে আসেনি। দুপুরে আমরা খবর পাই পপি আক্তার ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনি সে একটি দোকান থেকে তরল পানীয় একটি বোতল নিয়ে পান করতে করতে দক্ষিণ দিকে চলে যায়। কিন্তু কি কারণে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি।
আমরাও তার মৃত্যুর কোনো সঠিক কারণ বলতে পারিনি। তবে মাঝে মধ্যে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যেত। বিভিন্ন কবিরাজের কাছে নিলে তারা বলেছেন জ¦ীনে ভর করেছেন যার কারণে পপি আক্তার এমন হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন থেকে জানা যায়, সেদিন পপি আক্তার কলেজে যেতে কোনো বই খাতা নিতে দেখিনি। তবে ওই দিন সকালে তার চলাচল স্বাভাবিক ছিল এবং সুস্থ্য মস্তিষ্কের কথাবার্তা বলতে ও চলতে দেখা যায়। সে কিছুদিন আগে ঢাকা সোনারগাও কলেজ থেকে শিক্ষা সফরে গিয়ে ছিলেন।
পাশর্^বর্তী কবিরাজ দাদা ঝাঁড়– মিয়া জানান, মাঝে মধ্যে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমিও তাকে জারফুঁ দিতাম । তবে সে একটু জেদি ছিল, হঠাৎ রেগে যেতে দেখতাম, সে দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। যার কারণে হয়ত বা তার আল্গা (জ¦ীন) ধরেছে। ওই দিন তার ছোট বোন প্রিয়া আক্তার স্কুলে চলে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। স্থানীয় এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন, আমার গাড়ি দিয়ে কলেজে প্রায় সময় যাতায়াত করতেন আমার দৃষ্টিতে তার কোনো মানুষিক সমস্যা দেখতে পাইনি।
তবে কিছু লোক ধারণা করছেন তার এই আত্মহত্যার পিছনে কোনো রাগ লুকিয়ে থাকার কারণ রয়েছে । এদিকে নিহতের বাড়ি মা-বাবা ও স্বজনদের আহাজারি এবং শোকের কালো ছায়া সকলের মাঝে নেমে এসেছে।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা খন্ডাংশ সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।
মুরাদনগরে মাটিবাহি ট্রাক্টর চাপায় চালক নিহত
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় মাটিবাহি ট্রাক্টরের চাপায় চালক ফারুক(৩২) নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের গোমতি নদীর বেরীবাধ এলাকায় এ দূঘটনা ঘটে।
নিহত চালক দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, সকালে একটি ট্রাক্টর মাটি বহন করে গোমতি নদীর বেরীবাধ থেকে নিচে নামার সময় ট্রাক্টরটি অটকিয়ে গেলে, অপর একটি ট্রাক্টরের চালক ফারুক আটকে যাওয়া গাড়িটি তোলতে গেলে ট্রাক্টরটি উলটে য়ায়। এতে ফারুক চাপা খেয়ে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কুমিল¬া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: আরজুন মিয়া জানান, এ বিষয়ে আমরা অবহিত নই। খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামের গোমতি নদীর বেরীবাধ এলাকায় এ দূঘটনা ঘটে।
নিহত চালক দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, সকালে একটি ট্রাক্টর মাটি বহন করে গোমতি নদীর বেরীবাধ থেকে নিচে নামার সময় ট্রাক্টরটি অটকিয়ে গেলে, অপর একটি ট্রাক্টরের চালক ফারুক আটকে যাওয়া গাড়িটি তোলতে গেলে ট্রাক্টরটি উলটে য়ায়। এতে ফারুক চাপা খেয়ে আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কুমিল¬া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। সেখানে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: আরজুন মিয়া জানান, এ বিষয়ে আমরা অবহিত নই। খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
কুমিল্লায় তিন উপজেলার প্রশাসন চলছে নারী নেতৃত্বে
বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়নে অনেক পথ এগিয়ে গেছে। বর্তমানে প্রশাসনে নারীদের দাপট বেড়েছে। শুধু প্রশাসন নয় রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতির প্রশংসা করছে সারাবিশ্ব। নারীর এই অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে নেই কুমিল্লা জেলাও। তিনটি উপজেলার প্রশাসন দাপটের সাথে সামলাচ্ছেন তিন নারী ইউএনও। জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে সদর দক্ষিণ, মুরাদনগর ও মেঘনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন ওই তিন নারী ইউএনও।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, সমাজ উন্নয়নে পুরুষ কর্মকর্তারাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, এ ধারণা ভুল প্রমাণিত করে ওই নারী কর্মকর্তারা সফলতা আর নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া এই তিন নারী কর্মকর্তারা সফলতার সঙ্গে উপজেলার সব বিভাগের কাজকর্মের সমন্বয় ও তদারকি এবং জেলার সঙ্গে সমন্বয় করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়নমূলক কর্মকা- তদারকি-বাস্তবায়ন, মাদক নির্মূল, ইভটিজিং প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, শিক্ষার উন্নতকরণ, জনদুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ তৃণমূলের নানা কাজ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিনিয়তই সম্পন্ন করছেন।
তিন নারী ইউএনও হলো কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রূপালী মন্ডল, মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম এবং মেঘনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা পারভীন।
নারী ইউএনও রূপালী মন্ডল জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় দুই বছর যাবৎ সফলতার সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২৮ তম ব্যাচ বিসিএস এর সদস্য। রূপালী মন্ডলের আগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসিল্যান্ড হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানান।
তিনি বলেন, আমি নারী ইইএনও হওয়ার পথে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার মোকাবেলা হতে হয়নি। তবে নারীর অধিকার আদায়ে আমাদের পরিবার ও সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে নারীর অধিকার আদায়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারলে, চলার পথে নারীরা কোন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হবে না। রূপালী মন্ডল বলেন, প্রশাসন, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারী এখনো পিছিয়ে রয়েছে। পুরুষের সমান পর্যায়েও নেই।
তৃণমূলের নারীরা এখন মা-বাবা, স্বামী, পরিবার ও সমাজের কাছে অবহেলিত এবং সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার। এছাড়াও নারীরা ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ এবং যৌতুকের দায়ে স্বামীর হাতে নির্যাতন হচ্ছেন। আমাদের সমাজ থেকে এগুলো দূর করতে পারলে নারীরা অধিকার আদয়ে আরো অগ্রগামী হবে। তবে রাষ্ট্র যে হারে নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়ে আসছে, আশা করি খুব শীঘ্রই নারীর সমান অধিকার হবে।
আরেক নারী ইউএনও মিতু মরিয়ম জেলার মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুই মাস পূর্বে তিনি মুরাদনগরে যোগদান করেন। তিনি ২৭ তম ব্যাচ বিসিএস এর সদস্য।
মিতু মরিয়ম এর আগে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে। তার অবস্থান থেকে তিনি বলেন, ইউএনও একটি পদের নাম। সেই ক্ষেত্রে তিনি নারী না পুরুষ তাহা কোন বিষয় না। নারী ইউএনও হওয়ার আগে ও পরে কোন প্রতিবন্ধকতা সামনে আসেনি। এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধায় পড়তে হয়নি। মিতু মরিয়ম বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরাই। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী ও সংসদের স্পিকার নারী। এছাড়া দেশের রাজনীতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রশাসন এবং চাকরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিচালনা করছেন নারীরা।
তবে এটাও ঠিক এখনো দেশের সর্বস্তরের সমাজ ও পরিবারের নারীরা তাদের সঠিক অধিকার ভোগ করতে পারছে না। তারা প্রতিদিন বিভিন্ন কারণে, অকারণে সহিংসতা, বৈষম্য এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। তবে বর্তমান সমাজের নারীরা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। তারা সমাজের বাল্যবিবাহ, স্বামীর নির্যাতন, যৌতুদের দায়ে নারী নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা ও বৈষম্য, ইভটিজিং ইত্যাদি প্রতিরোদে নারীরা মুখ খুলে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করছে।
জেলার আরেক নারী ইউএনও আফরোজা পারভীন মেঘনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২৯ তম ব্যাচ বিসিএস এর সদস্য। আফরোজা পারভীন কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কিছুদিন থাকার পরে প্রায় ১১ মাস পূর্বে তিনি
মেঘনা উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে বলে তিনি বলেন।
তিনি বলেন, নারীরা অনেক সময় অনেক সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা রোধ করতে হয়। মানুষ অনেক সময় চিন্তা করে, যে নির্বাহী কর্মকর্তা নারী। তিনি ওই কাজটা করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে পারবে কিনা এমনটি প্রশ্ন থেকে যায়। যখন নারীরা ওই কাজটা সফলভাবে শেষ করতে পারে, তখন ওই মানুষগুলোই আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে। তিনি বলেন, আমি বলতে পারবো না, যে আমাদের সর্বস্ততরের নারীরা অগ্রগামী। তারা তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে। এখনো প্রায় অর্ধেকের চেয়ে বেশি নারী অবহেলিত। তারা এখনো তাদের পরিবারের কাছ থেকে সমান অধিকার আদায় করতে পারছে না। নারীরা সমাজে এখনো নির্যাতনের শিকার। সমাজ ও পরিবারে সচেতনতা আসলে দেশে নারী দিবস পালন করতে হবে না নারী ইউএনও আফরোজা পারভীন জানান।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীবান্ধব প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কুমিল্লায়ও নারীবান্ধব প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। জেলায় ১৭টি উপজেলা মধ্যে কর্মরত ৩ জন নারী নির্বাহী কর্মকর্তা নিষ্ঠা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। নারী হয়েও দায়িত্ব পালনে তারা কখনো সমস্যার মুখমুখি হতে হয়নি। জেলা প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে এবং আগামীতেও করবে।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, সমাজ উন্নয়নে পুরুষ কর্মকর্তারাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, এ ধারণা ভুল প্রমাণিত করে ওই নারী কর্মকর্তারা সফলতা আর নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া এই তিন নারী কর্মকর্তারা সফলতার সঙ্গে উপজেলার সব বিভাগের কাজকর্মের সমন্বয় ও তদারকি এবং জেলার সঙ্গে সমন্বয় করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়নমূলক কর্মকা- তদারকি-বাস্তবায়ন, মাদক নির্মূল, ইভটিজিং প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, শিক্ষার উন্নতকরণ, জনদুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ তৃণমূলের নানা কাজ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিনিয়তই সম্পন্ন করছেন।
তিন নারী ইউএনও হলো কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রূপালী মন্ডল, মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম এবং মেঘনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা পারভীন।
নারী ইউএনও রূপালী মন্ডল জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় দুই বছর যাবৎ সফলতার সঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২৮ তম ব্যাচ বিসিএস এর সদস্য। রূপালী মন্ডলের আগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসিল্যান্ড হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন বলে জানান।
তিনি বলেন, আমি নারী ইইএনও হওয়ার পথে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার মোকাবেলা হতে হয়নি। তবে নারীর অধিকার আদায়ে আমাদের পরিবার ও সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে নারীর অধিকার আদায়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারলে, চলার পথে নারীরা কোন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হবে না। রূপালী মন্ডল বলেন, প্রশাসন, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারী এখনো পিছিয়ে রয়েছে। পুরুষের সমান পর্যায়েও নেই।
তৃণমূলের নারীরা এখন মা-বাবা, স্বামী, পরিবার ও সমাজের কাছে অবহেলিত এবং সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার। এছাড়াও নারীরা ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ এবং যৌতুকের দায়ে স্বামীর হাতে নির্যাতন হচ্ছেন। আমাদের সমাজ থেকে এগুলো দূর করতে পারলে নারীরা অধিকার আদয়ে আরো অগ্রগামী হবে। তবে রাষ্ট্র যে হারে নারীর ক্ষমতায়নে এগিয়ে আসছে, আশা করি খুব শীঘ্রই নারীর সমান অধিকার হবে।
আরেক নারী ইউএনও মিতু মরিয়ম জেলার মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুই মাস পূর্বে তিনি মুরাদনগরে যোগদান করেন। তিনি ২৭ তম ব্যাচ বিসিএস এর সদস্য।
মিতু মরিয়ম এর আগে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে। তার অবস্থান থেকে তিনি বলেন, ইউএনও একটি পদের নাম। সেই ক্ষেত্রে তিনি নারী না পুরুষ তাহা কোন বিষয় না। নারী ইউএনও হওয়ার আগে ও পরে কোন প্রতিবন্ধকতা সামনে আসেনি। এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও কোন অসুবিধায় পড়তে হয়নি। মিতু মরিয়ম বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরাই। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী ও সংসদের স্পিকার নারী। এছাড়া দেশের রাজনীতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রশাসন এবং চাকরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিচালনা করছেন নারীরা।
তবে এটাও ঠিক এখনো দেশের সর্বস্তরের সমাজ ও পরিবারের নারীরা তাদের সঠিক অধিকার ভোগ করতে পারছে না। তারা প্রতিদিন বিভিন্ন কারণে, অকারণে সহিংসতা, বৈষম্য এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। তবে বর্তমান সমাজের নারীরা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। তারা সমাজের বাল্যবিবাহ, স্বামীর নির্যাতন, যৌতুদের দায়ে নারী নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা ও বৈষম্য, ইভটিজিং ইত্যাদি প্রতিরোদে নারীরা মুখ খুলে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করছে।
জেলার আরেক নারী ইউএনও আফরোজা পারভীন মেঘনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২৯ তম ব্যাচ বিসিএস এর সদস্য। আফরোজা পারভীন কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কিছুদিন থাকার পরে প্রায় ১১ মাস পূর্বে তিনি
মেঘনা উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে বলে তিনি বলেন।
তিনি বলেন, নারীরা অনেক সময় অনেক সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা রোধ করতে হয়। মানুষ অনেক সময় চিন্তা করে, যে নির্বাহী কর্মকর্তা নারী। তিনি ওই কাজটা করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে পারবে কিনা এমনটি প্রশ্ন থেকে যায়। যখন নারীরা ওই কাজটা সফলভাবে শেষ করতে পারে, তখন ওই মানুষগুলোই আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে। তিনি বলেন, আমি বলতে পারবো না, যে আমাদের সর্বস্ততরের নারীরা অগ্রগামী। তারা তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে। এখনো প্রায় অর্ধেকের চেয়ে বেশি নারী অবহেলিত। তারা এখনো তাদের পরিবারের কাছ থেকে সমান অধিকার আদায় করতে পারছে না। নারীরা সমাজে এখনো নির্যাতনের শিকার। সমাজ ও পরিবারে সচেতনতা আসলে দেশে নারী দিবস পালন করতে হবে না নারী ইউএনও আফরোজা পারভীন জানান।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীবান্ধব প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কুমিল্লায়ও নারীবান্ধব প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। জেলায় ১৭টি উপজেলা মধ্যে কর্মরত ৩ জন নারী নির্বাহী কর্মকর্তা নিষ্ঠা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। নারী হয়েও দায়িত্ব পালনে তারা কখনো সমস্যার মুখমুখি হতে হয়নি। জেলা প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে এবং আগামীতেও করবে।
কুমিল্লায় মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রের রুমে বিস্ফোরণ, আহত ২
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার ঘোষনগর এলাকায় বুধবার মাধ্যরাতে রিয়াজুল ইসলাম নামে এক কলেজ ছাত্রের রুমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সে কুমিল্লা সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র। বিস্ফোরণে রিয়াজুলের দুই হাত ও মুখের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা থেকে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরা বাজার ঘোষনগর এলাকার হলি কেয়ার স্কুলের সঙ্গে নানার বাড়ির ৪ তলা বিল্ডিংয়ের নিচ তলার একটি রুমে থাকতো রিয়াজুল ইসলাম (১৭) ও তার খালাত ভাই সোহাগ (১৪)। বাড়ির মালিক তাদের নানা হাজী আবদুল জলিলও পরিবার নিয়ে থাকতো পাশের একটি রুমে।
বুধবার রাত অনুমানিক ২টায় রিয়াজুলের রুমে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে রুমের থাই গ্লাসের জানালা ও স্টিলের দরজা ভেঙে যায়। ওই বিল্ডিংয়ের ২য় তলার মাসুদ নামে এক ভাড়াটিয়া জানান, মধ্য রাতে বিকট শব্দে পুরো বিল্ডিং কম্পিত হয়ে উঠে।
দারজা খুলে বাহিরে গিয়ে নিচতলায় ধোয়ায় আচ্ছন্ন দেখতে পাই। বিস্ফোরণে রিয়াজুলের রুমে থাকা কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এ সময় বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসে আগুন নিভিয়ে রুমে থাকা রিয়াজুল ও সোহাগকে উদ্ধার করে।
বিস্ফোরণে সোহাগ বেশি আহত না হলেও রিয়াজুলের দুই হাত ও মুখের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়।
স্থানীয়রা তাঁকে প্রথমে ময়নামতি মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিয়াজুলকে কুমিল্লা প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে সকালে বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে সহ দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে কুমিল্লা জেলা সদর সার্কেল অতিঃ গোলাম আম্বিয়া মাহমুদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ সারা দিনব্যাপী ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখে বিস্ফোরণের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায়। সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান, ঢাকা থেকে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে আসছে, তাঁদের পরীক্ষার পর বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা থেকে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরা বাজার ঘোষনগর এলাকার হলি কেয়ার স্কুলের সঙ্গে নানার বাড়ির ৪ তলা বিল্ডিংয়ের নিচ তলার একটি রুমে থাকতো রিয়াজুল ইসলাম (১৭) ও তার খালাত ভাই সোহাগ (১৪)। বাড়ির মালিক তাদের নানা হাজী আবদুল জলিলও পরিবার নিয়ে থাকতো পাশের একটি রুমে।
বুধবার রাত অনুমানিক ২টায় রিয়াজুলের রুমে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে রুমের থাই গ্লাসের জানালা ও স্টিলের দরজা ভেঙে যায়। ওই বিল্ডিংয়ের ২য় তলার মাসুদ নামে এক ভাড়াটিয়া জানান, মধ্য রাতে বিকট শব্দে পুরো বিল্ডিং কম্পিত হয়ে উঠে।
দারজা খুলে বাহিরে গিয়ে নিচতলায় ধোয়ায় আচ্ছন্ন দেখতে পাই। বিস্ফোরণে রিয়াজুলের রুমে থাকা কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এ সময় বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসে আগুন নিভিয়ে রুমে থাকা রিয়াজুল ও সোহাগকে উদ্ধার করে।
বিস্ফোরণে সোহাগ বেশি আহত না হলেও রিয়াজুলের দুই হাত ও মুখের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়।
স্থানীয়রা তাঁকে প্রথমে ময়নামতি মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিয়াজুলকে কুমিল্লা প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে সকালে বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে সহ দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে কুমিল্লা জেলা সদর সার্কেল অতিঃ গোলাম আম্বিয়া মাহমুদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ সারা দিনব্যাপী ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখে বিস্ফোরণের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায়। সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান, ঢাকা থেকে বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে আসছে, তাঁদের পরীক্ষার পর বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
গোলাবাড়ি ও চানপুর ব্রীজের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে-এমপি বাহার
কুমিল্লা সদর আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, দীর্ঘ ৪০ বছর প্রতিশ্র“তি দিলেও কেউ গোমতীর উপরে একটি ব্রীজ নির্মাণ করতে পারেনি। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর টিক্কাচর ব্রীজসহ গোমতীর উপরে ৩টি ব্রীজ নির্মান করে অবহেলিত গোমতীর উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন সাধন করেছি। এ ব্রীজ বদলে দিয়েছে গোমতির ওপাড়ের মানুষের জীবনধারা। গোলাবাড়ি ও চানপুর আরো দুটি ব্রীজের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স গোমতীর উত্তর পাড়ে স্থাপনের উদ্যেগ নিয়েছি। অল্প সময়ে এ উদ্যেগ বাস্তবায়ন হবে। ভাবে আমরা পরিকল্পিত ভাবে ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি কুমিল্লা শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছি। কুমিল্লার হারানো ঐতিহ্য পুনরোদ্ধার সহ ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যেমে কুমিল্লাকে নতুন প্রজন্মের অহংকারের কুমিল্লা হিসাবে গড়তে চাই।
গতকাল রবিবার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত পাঁচথুবী ইউনিয়নের আন্তঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি এসব কথা বলেন।
গতকাল সকাল ১১ টায় কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন আন্তঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৮ এর উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ইউনিয়নের ২৮ টি স্কুল-কলেজ ও কিন্ডার গার্টেন অংশ নেয়।
আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পাঁচথুবী ইনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন বাহালুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছুজ্জামান, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বকুল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল হাছান, স্থানীয় পাঁচথুবী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাছান রাফি রাজু।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম জীবন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া ।
অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রতন,সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তারিকুর রহমান জুয়েল, মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ফরিদ আল ফাত্তাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল করিম সেন্টু,উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুছ সাহেরীন সাহের,
শিক্ষানুরাগী শামসুর রহমান বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক এনামুল হক এনাম,
আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মো.সেলিম, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আহাম্মেদ নিয়াজ পাভেল, কাজী খোরশেদ আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সাইফুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মালেক চৌধুরী ,কালিরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.সেকান্দর আলী,দূর্গাপুর (উত্তর) ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,দূর্গাপুর (দক্ষিন) ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.আমিনুল হক,কালিরবাজার ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আবদুস সোবাহান ভূইয়া,
সাধারণ সম্পাদক মো.ইউনুছ, দূর্গাপুর (উত্তর) ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আবদুল খালেক ভূইয়া,সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবীর,আমড়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ,সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান হাসু,পাঁচথুবী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাছান হীরন, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের,কেটিসিসিএ লি.এর পরিচালক জুনায়েদ শিকদার তপু ও মো.দেলোয়ার হোসেন,মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক সাদেকুর রহমান পিয়াস ও শাহাজাদা টুটুল উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম পল্লব প্রমুখ।
আয়োজন উপলক্ষে ইউনিয়নের প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয় বর্ণাঢ্য তোড়ন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও কুমিল্লা মহানগর ,আদর্শ সদর উপজেলা,বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স গোমতীর উত্তর পাড়ে স্থাপনের উদ্যেগ নিয়েছি। অল্প সময়ে এ উদ্যেগ বাস্তবায়ন হবে। ভাবে আমরা পরিকল্পিত ভাবে ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি কুমিল্লা শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছি। কুমিল্লার হারানো ঐতিহ্য পুনরোদ্ধার সহ ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যেমে কুমিল্লাকে নতুন প্রজন্মের অহংকারের কুমিল্লা হিসাবে গড়তে চাই।
গতকাল রবিবার সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত পাঁচথুবী ইউনিয়নের আন্তঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি এসব কথা বলেন।
গতকাল সকাল ১১ টায় কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন আন্তঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৮ এর উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ইউনিয়নের ২৮ টি স্কুল-কলেজ ও কিন্ডার গার্টেন অংশ নেয়।
আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পাঁচথুবী ইনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন বাহালুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছুজ্জামান, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বকুল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল হাছান, স্থানীয় পাঁচথুবী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাছান রাফি রাজু।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম জীবন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া ।
অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রতন,সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তারিকুর রহমান জুয়েল, মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ফরিদ আল ফাত্তাহ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল করিম সেন্টু,উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুছ সাহেরীন সাহের,
শিক্ষানুরাগী শামসুর রহমান বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক এনামুল হক এনাম,
আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মো.সেলিম, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আহাম্মেদ নিয়াজ পাভেল, কাজী খোরশেদ আলম,সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সাইফুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মালেক চৌধুরী ,কালিরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.সেকান্দর আলী,দূর্গাপুর (উত্তর) ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,দূর্গাপুর (দক্ষিন) ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.আমিনুল হক,কালিরবাজার ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আবদুস সোবাহান ভূইয়া,
সাধারণ সম্পাদক মো.ইউনুছ, দূর্গাপুর (উত্তর) ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আবদুল খালেক ভূইয়া,সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবীর,আমড়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হানিফ,সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান হাসু,পাঁচথুবী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাছান হীরন, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের,কেটিসিসিএ লি.এর পরিচালক জুনায়েদ শিকদার তপু ও মো.দেলোয়ার হোসেন,মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক সাদেকুর রহমান পিয়াস ও শাহাজাদা টুটুল উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম পল্লব প্রমুখ।
আয়োজন উপলক্ষে ইউনিয়নের প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয় বর্ণাঢ্য তোড়ন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও কুমিল্লা মহানগর ,আদর্শ সদর উপজেলা,বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সহ¯্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লার দুই শতাধিক অবৈধ লেভেলক্রসিং এখন ‘মরণ ফাঁদ’
পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আওতাধীন এলাকার পরিমাণ ১৮৪ কিলোমিটার। ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম, লাকসাম-নোয়াখালী ও লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে মোট ১৮৪ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশও। এই বিশাল রেলপথ এলাকায় রয়েছে দুই শতাধিক লেভেলক্রসিং।
যদিও স্থানীয় সূত্রের দাবি এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হবে। তবে লেভেলক্রসিংয়ের সঠিক কোন হিসেব নেই স্বয়ং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছেও।এদিকে, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া এসব লেভেলক্রসিংগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই অনুমোদনহীন এবং অবৈধ। সাধারণ মানুষের কাছে এসব অবৈধ লেভেলক্রসিংগুলো এখন এক একটি ‘মরণ ফাঁদ’ হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এই মরণ ফাঁদে কাটা পড়ে অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষেকে।
গত দুই বছরে এই প্রাণ হারানোর সংখ্যা অন্তত একশ হবে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ গত সোমবার লাকসাম পৌর শহরের ফতেপুর এলাকায় গেটম্যানবিহীন একটি লেভেলক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের ধাক্কায় এই মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিতে হয়েছে অটোরিকশা চালক মো.হৃদয় মিয়াকে (৩০)। এদিকে অবৈধ এসব লেভেলক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ ও গেট ম্যান নিয়োগের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও এই সমস্যা সমাধানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোন সাড়া নেই বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওসমান গণি পাঠান জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে লাকসাম থেকে কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা শালদা নদী ও লাকসাম থেকে ফেনী এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে নেয়াখালী আর লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে চাঁদপুরের আউটার সিগন্যাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৮৪ কিলোমিটার রেলপথ এলাকা আমাদের আওতাধীন। তবে এর মধ্যে ঠিক কতগুলো লেভেলক্রসিং রয়েছে এর সঠিক কোন হিসেবে আমাদের কাছে নেই।
তবে লাকসাম রেলওয়ে জংশন ও রেলওয়ে থানা একাধিক সূত্র জানায়, লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আওতাধীন ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথে ৬৮টি, লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের আউটার সিগন্যাল পর্যন্ত একটি এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে ৪৮টিসহ সর্বমোট ১১৭টি লেভেলক্রসিংয়ের হিসেবে রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি লেভেলক্রসিং বৈধ। তবে বৈধ এই ৩৪টি লেভেলক্রসিংয়ের বেশ কয়েকটিতেও নেই গেট ও গেটম্যান।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব স্থানে নিজ দায়িত্বে পারাপারের জন্য সতর্কবার্তা লিখে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তবে অরক্ষিত কয়েকটি রেলক্রসিংয়ে সতর্কবার্তা সাইন বোর্ড দিলেও থামছে না দুর্ঘটনা। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি রেললাইনের লেভেলক্রসিং সংলগ্ন ভূমি অবৈধভাবে দখল করে বাড়িঘর, দোকানপাট নির্মাণ করায় পথচারী বা যানবাহন চালকদের ট্রেন চলাচল চোখে পড়ছে না। এ কারণে রেলক্রসিং দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারী বা যানবাহন চালকরা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের অসাবধানতার জন্যও অবৈধ এসব লেভেলক্রসিংগুলোতে প্রাণহানীসহ বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
এদিকে, সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।
বর্তমানে ওই রেলপথে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত সময়ে ও গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল এই রেলপথে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ লেভেলক্রসিংগুলোতে কোন গেট নেই। এতে এলাকার পথচারীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারন ওই রুটে ট্রেনের গতি আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি।
লাকসাম-চিনকি আস্তানা ডাবল রেলপথে নাঙ্গলকোট পৌর বাজারে অবস্থিত অবৈধ লেভেলক্রসিং দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী বিল্লাল হোসেন রিয়াজ ও মো.দুলাল মিয়াসহ এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও পথচারী জানান, এই লেভেলক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া কোমলমতি শিশু, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই লেভেলক্রসিংয়ে এখনো কোন গেট নির্মাণ বা গেটম্যান নিয়োগ করা হয়নি। অথচ কিছু দিন পর পরই এখানে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মরছে।
লাকসামের আজগরা এলাকার বাসিন্দা মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় দু’টি লেভেলক্রসিং রয়েছে। তবে এগুলোর একটিরও গেট ও গেটম্যান নেই। তাই এ স্থানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
নাম প্রকাশ না শর্তে লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, লাকসাম রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় দেড়শ বা দুইশ লেভেলক্রসিংয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। সব মিলিয়ে পাঁচশ এর কম হবে না। আবার অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে মানুষ নিজেদের সুবিধার্থেই রেললাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে চলাচল শুরু করেছেন। যার কারণে এই সংখ্যা আরো বাড়ছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত বছরের ১ এপ্রিল ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশন এলাকার অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মাওলানা হাছান আহমেদ (৩৭) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। একই বছরের ১৭ মার্চ নাঙ্গলকোট পৌর বাজারে অবৈধ লেভেলক্রসিং পারাপারের সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে কাটা পড়ে আবদুল আলীম (৪৫) এবং আবুল কাসেম (৫০) নামে দুই পথচারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ওই বছরের ১৪ মার্চ চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার অবৈধ লেভেলক্রসিং পারাপারের সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (২৮) এক যুবকের নিহত হয়। ওই বছরের ৩ এপ্রিল নাঙ্গলকোটে অবৈধ লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মিনি বেগম (৪০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ১৭ আগস্ট নাঙ্গলকোটে অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় আমির হোসেন অনু (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
ওই বছরের ২ নভেম্বর লাকসাম রেলওয়ে জংশনের পাশে ট্রেনে কাটা পড়ে মো.শওকত (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গত সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারি লাকসাম পৌর শহরের ফতেপুর এলাকায় গেটম্যানবিহীন লেভেলক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক মো.হৃদয় মিয়ার (৩০) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, এগুলো গত বছর ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার সিকিভাগ মাত্র। আর গত দুই বছরে শুধুমাত্র লাকসাম রেলওয়ের আওতাধীন এলাকাতেই এই সংখ্যা কমপক্ষে একশ হবে। কারণ অনেক সময় দেখা দুর্ঘটনা বা হতাহতের খবরও রেলওয়ে পুলিশের কাছে এসে পৌঁছায় না। স্থানীয়রা নিজেরাই লাশ উদ্ধার করে দাফন করে ফেলেন।
গত বুধবার এ প্রসঙ্গে জানতে লাকসাম রেলওয়ে জংশনের পরিবহন পরিদর্শক মো.আবু তাহেরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন। এরপর এই প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন তিনি।
তবে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.ওসমান গণি পাঠান বলেন, আমরা প্রতিটি মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে। তিনি জানান, যদি প্রতিটি বা গুরুত্বপূর্ণ লেভেলক্রসিংগুলোতে গেট নির্মাণ করে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা অসম্ভবের কিছু নয়
যদিও স্থানীয় সূত্রের দাবি এই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হবে। তবে লেভেলক্রসিংয়ের সঠিক কোন হিসেব নেই স্বয়ং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছেও।এদিকে, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া এসব লেভেলক্রসিংগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই অনুমোদনহীন এবং অবৈধ। সাধারণ মানুষের কাছে এসব অবৈধ লেভেলক্রসিংগুলো এখন এক একটি ‘মরণ ফাঁদ’ হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এই মরণ ফাঁদে কাটা পড়ে অকালে প্রাণ দিতে হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষেকে।
গত দুই বছরে এই প্রাণ হারানোর সংখ্যা অন্তত একশ হবে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ গত সোমবার লাকসাম পৌর শহরের ফতেপুর এলাকায় গেটম্যানবিহীন একটি লেভেলক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের ধাক্কায় এই মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিতে হয়েছে অটোরিকশা চালক মো.হৃদয় মিয়াকে (৩০)। এদিকে অবৈধ এসব লেভেলক্রসিংয়ে গেট নির্মাণ ও গেট ম্যান নিয়োগের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও এই সমস্যা সমাধানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন কোন সাড়া নেই বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওসমান গণি পাঠান জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে লাকসাম থেকে কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা শালদা নদী ও লাকসাম থেকে ফেনী এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে নেয়াখালী আর লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে চাঁদপুরের আউটার সিগন্যাল পর্যন্ত সর্বমোট ১৮৪ কিলোমিটার রেলপথ এলাকা আমাদের আওতাধীন। তবে এর মধ্যে ঠিক কতগুলো লেভেলক্রসিং রয়েছে এর সঠিক কোন হিসেবে আমাদের কাছে নেই।
তবে লাকসাম রেলওয়ে জংশন ও রেলওয়ে থানা একাধিক সূত্র জানায়, লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আওতাধীন ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলপথে ৬৮টি, লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের আউটার সিগন্যাল পর্যন্ত একটি এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেলপথে ৪৮টিসহ সর্বমোট ১১৭টি লেভেলক্রসিংয়ের হিসেবে রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৪টি লেভেলক্রসিং বৈধ। তবে বৈধ এই ৩৪টি লেভেলক্রসিংয়ের বেশ কয়েকটিতেও নেই গেট ও গেটম্যান।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব স্থানে নিজ দায়িত্বে পারাপারের জন্য সতর্কবার্তা লিখে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তবে অরক্ষিত কয়েকটি রেলক্রসিংয়ে সতর্কবার্তা সাইন বোর্ড দিলেও থামছে না দুর্ঘটনা। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি রেললাইনের লেভেলক্রসিং সংলগ্ন ভূমি অবৈধভাবে দখল করে বাড়িঘর, দোকানপাট নির্মাণ করায় পথচারী বা যানবাহন চালকদের ট্রেন চলাচল চোখে পড়ছে না। এ কারণে রেলক্রসিং দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারী বা যানবাহন চালকরা প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের অসাবধানতার জন্যও অবৈধ এসব লেভেলক্রসিংগুলোতে প্রাণহানীসহ বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
এদিকে, সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে।
বর্তমানে ওই রেলপথে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত সময়ে ও গতিতে ট্রেন চলাচল করছে। ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল এই রেলপথে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগ লেভেলক্রসিংগুলোতে কোন গেট নেই। এতে এলাকার পথচারীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কারন ওই রুটে ট্রেনের গতি আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি।
লাকসাম-চিনকি আস্তানা ডাবল রেলপথে নাঙ্গলকোট পৌর বাজারে অবস্থিত অবৈধ লেভেলক্রসিং দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী বিল্লাল হোসেন রিয়াজ ও মো.দুলাল মিয়াসহ এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও পথচারী জানান, এই লেভেলক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া কোমলমতি শিশু, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই লেভেলক্রসিংয়ে এখনো কোন গেট নির্মাণ বা গেটম্যান নিয়োগ করা হয়নি। অথচ কিছু দিন পর পরই এখানে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মরছে।
লাকসামের আজগরা এলাকার বাসিন্দা মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় দু’টি লেভেলক্রসিং রয়েছে। তবে এগুলোর একটিরও গেট ও গেটম্যান নেই। তাই এ স্থানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
নাম প্রকাশ না শর্তে লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, লাকসাম রেলওয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় দেড়শ বা দুইশ লেভেলক্রসিংয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। সব মিলিয়ে পাঁচশ এর কম হবে না। আবার অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে মানুষ নিজেদের সুবিধার্থেই রেললাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে চলাচল শুরু করেছেন। যার কারণে এই সংখ্যা আরো বাড়ছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত বছরের ১ এপ্রিল ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশন এলাকার অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মাওলানা হাছান আহমেদ (৩৭) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন। একই বছরের ১৭ মার্চ নাঙ্গলকোট পৌর বাজারে অবৈধ লেভেলক্রসিং পারাপারের সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে কাটা পড়ে আবদুল আলীম (৪৫) এবং আবুল কাসেম (৫০) নামে দুই পথচারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ওই বছরের ১৪ মার্চ চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার অবৈধ লেভেলক্রসিং পারাপারের সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (২৮) এক যুবকের নিহত হয়। ওই বছরের ৩ এপ্রিল নাঙ্গলকোটে অবৈধ লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মিনি বেগম (৪০) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ১৭ আগস্ট নাঙ্গলকোটে অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় আমির হোসেন অনু (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
ওই বছরের ২ নভেম্বর লাকসাম রেলওয়ে জংশনের পাশে ট্রেনে কাটা পড়ে মো.শওকত (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গত সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারি লাকসাম পৌর শহরের ফতেপুর এলাকায় গেটম্যানবিহীন লেভেলক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক মো.হৃদয় মিয়ার (৩০) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, এগুলো গত বছর ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার সিকিভাগ মাত্র। আর গত দুই বছরে শুধুমাত্র লাকসাম রেলওয়ের আওতাধীন এলাকাতেই এই সংখ্যা কমপক্ষে একশ হবে। কারণ অনেক সময় দেখা দুর্ঘটনা বা হতাহতের খবরও রেলওয়ে পুলিশের কাছে এসে পৌঁছায় না। স্থানীয়রা নিজেরাই লাশ উদ্ধার করে দাফন করে ফেলেন।
গত বুধবার এ প্রসঙ্গে জানতে লাকসাম রেলওয়ে জংশনের পরিবহন পরিদর্শক মো.আবু তাহেরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন। এরপর এই প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন তিনি।
তবে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.ওসমান গণি পাঠান বলেন, আমরা প্রতিটি মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ধরছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে। তিনি জানান, যদি প্রতিটি বা গুরুত্বপূর্ণ লেভেলক্রসিংগুলোতে গেট নির্মাণ করে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা অসম্ভবের কিছু নয়
রেসকোর্স খাল-ব্রিজ ও রেসকোর্স খালপাড় সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন
- রেসকোর্স খাল- ব্রিজ ও রেসকোর্স খালপাড় সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
- মিউনিসিপ্যাল গর্ভারনেন্স এন্ড সার্ভিসেস প্রজেক্টের আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে এ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারদের মানসম্পন্ন কাজ করার নির্দেশ দেন।
- উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর কাউসারা বেগম সুমি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতা বহিষ্কার
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। বৃহস্পতিবার রাতে এ বহিষ্কারাদেশ দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে বিষয়টি জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হাসান সাদী ও গোলাম দস্তগীর ফরহাদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কি ধরনের শৃংখলা ভঙ্গের কারণে তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ তো যে কোন কারণে হতে পারে।’ তবে নির্দিষ্ট কারণ না বলে এড়িয়ে যান কেন্দ্রীয় এ নেতা। একই প্রশ্নের উত্তর জানতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, শাখা ছাত্রলীগের কমিটির ১৬১ জন সদস্যের মধ্যে পূর্বে ৪জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৭জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হাসান সাদী ও গোলাম দস্তগীর ফরহাদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কি ধরনের শৃংখলা ভঙ্গের কারণে তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ তো যে কোন কারণে হতে পারে।’ তবে নির্দিষ্ট কারণ না বলে এড়িয়ে যান কেন্দ্রীয় এ নেতা। একই প্রশ্নের উত্তর জানতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, শাখা ছাত্রলীগের কমিটির ১৬১ জন সদস্যের মধ্যে পূর্বে ৪জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৭জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।