জিততে হলে সামলাতে হবে 'নাকল বল'
'নাকল' বলের জাদু শুরু করেছেন ভারতীয় পেসার শারদুল ঠাকুর। জহির রায়হানের হাত ধরে 'নাকল' বল বেশ সাড়া ফেললেও অনেক পেসারের অস্ত্র এই নাকল বল। দক্ষিণ আফ্রিকার পরে এই নাকল দিয়ে নিদাহাস ট্রফিতে মাত করছেন শারদুল ঠাকুর। হয়ে উঠেছেন ব্যাটসম্যানদের ত্রাস। আগের ম্যাচে ওয়াশিংটস সুন্দরের বলে ধসে যাওয়া অভিজ্ঞ বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের তাই শারদুল ঠাকুরের নাকল সামলাতে হবে দক্ষতার সঙ্গে।
নাকল বল করাটাও যেমন কঠিন খেলাটাও তেমন কঠিন। বলের গ্রিপটা দুই আঙুলের উল্টো পাশে ধরে বল করতে হয়। এটা অনেকটা ক্যারম বোলিংয়ের মতো। বছরের পর বছর অনুশীলন করলেই তবে এই বলা করা যায়। আর ব্যাটসম্যান যদি বোলারের হাত দেখে না খেলে তবে বিপদে পড়া অবধারিত।
'নাকবল' নামের এক খেলা থেকে এই নাকল বল এসেছে। খেলটা অনেকটা বেসবলের মতো। বোলার রানিংয়ের গতি না বদলেই স্লোয়ার দিতে পারেন, আবার এ ধরনের বল মাঝে মধ্যে 'স্কিড' করে যায়। কখনও কখনও ব্যাকস্পিন করে, কখনও আবার শর্ট অব লেন্থে এসে বাউন্সও করে।
তবে বিশেষ এ অস্ত্রটি আয়ত্তে আনতে কাজ করছেন মুস্তাফিজও। তাছাড়া শারদুল ঠাকুরের এক নাকলের পাশাপাশি 'মোস্তাফিজ যদি তার অস্ত্রগুলো একে একে বের করতে পারেন তবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও নাকানি-চুবানি খাবেন। যা মোস্তাফিজ আগেও করে দেখিয়েছেন।
নাকল বল করাটাও যেমন কঠিন খেলাটাও তেমন কঠিন। বলের গ্রিপটা দুই আঙুলের উল্টো পাশে ধরে বল করতে হয়। এটা অনেকটা ক্যারম বোলিংয়ের মতো। বছরের পর বছর অনুশীলন করলেই তবে এই বলা করা যায়। আর ব্যাটসম্যান যদি বোলারের হাত দেখে না খেলে তবে বিপদে পড়া অবধারিত।
'নাকবল' নামের এক খেলা থেকে এই নাকল বল এসেছে। খেলটা অনেকটা বেসবলের মতো। বোলার রানিংয়ের গতি না বদলেই স্লোয়ার দিতে পারেন, আবার এ ধরনের বল মাঝে মধ্যে 'স্কিড' করে যায়। কখনও কখনও ব্যাকস্পিন করে, কখনও আবার শর্ট অব লেন্থে এসে বাউন্সও করে।
তবে বিশেষ এ অস্ত্রটি আয়ত্তে আনতে কাজ করছেন মুস্তাফিজও। তাছাড়া শারদুল ঠাকুরের এক নাকলের পাশাপাশি 'মোস্তাফিজ যদি তার অস্ত্রগুলো একে একে বের করতে পারেন তবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও নাকানি-চুবানি খাবেন। যা মোস্তাফিজ আগেও করে দেখিয়েছেন।
টাইগারদের জন্য কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা
দুর্দান্ত ছক্কায় অবিস্মরণীয় জয়ের পর থেকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ দল। এবার তাদের আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিলেন ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশ দলের জন্য এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি।
শনিবার সকালে কলম্বোতে তিনি এই ঘোষণা দেন। রোববার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিতলে পুরস্কারের টাকার অঙ্ক আরও বাড়বে বলে জানান পাপন।
অবিস্মরণীয় জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া দেশ ও বিদেশের অনেক নামিদামি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ছক্কায় শেষ পর্যন্ত যে জয়টি এসেছে, তা কেবল একটি জয় ছিল না! তা ছিল ভেতরে পুষে রাখা বহুদিনের যন্ত্রণা ও ক্ষোভ থেকে ‘বিষ’ হয়ে ওঠা সাপের ছোবল। ম্যাচ শেষে যার প্রতিটি ছোবলে নীল হয়েছে শ্রীলংকা।
শুক্রবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। লংকার সামনে জয়ের জন্য যে ক্ষুুধার্ত বাংলাদেশকে দেখা গেছে, তারা উপহার দিয়েছে এমন এক অবিস্মরণীয় সমাপ্তির ম্যাচ, যাকে অভিহিত করা যায় ২০১৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল-পরবর্তী সেরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হিসেবে। আর কলম্বোয় টগবগে এই বাংলাদেশই রোববার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে।
দুর্দান্ত ছক্কায় অবিস্মরণীয় জয়ের পর থেকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ দল। এবার তাদের আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিলেন ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশ দলের জন্য এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি।
শনিবার সকালে কলম্বোতে তিনি এই ঘোষণা দেন। রোববার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিতলে পুরস্কারের টাকার অঙ্ক আরও বাড়বে বলে জানান পাপন।
অবিস্মরণীয় জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া দেশ ও বিদেশের অনেক নামিদামি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ছক্কায় শেষ পর্যন্ত যে জয়টি এসেছে, তা কেবল একটি জয় ছিল না! তা ছিল ভেতরে পুষে রাখা বহুদিনের যন্ত্রণা ও ক্ষোভ থেকে ‘বিষ’ হয়ে ওঠা সাপের ছোবল। ম্যাচ শেষে যার প্রতিটি ছোবলে নীল হয়েছে শ্রীলংকা।
শুক্রবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। লংকার সামনে জয়ের জন্য যে ক্ষুুধার্ত বাংলাদেশকে দেখা গেছে, তারা উপহার দিয়েছে এমন এক অবিস্মরণীয় সমাপ্তির ম্যাচ, যাকে অভিহিত করা যায় ২০১৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল-পরবর্তী সেরা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হিসেবে। আর কলম্বোয় টগবগে এই বাংলাদেশই রোববার ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে।
মেসির শতকে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সা
ক্যাম্প নূ’তে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের তিন মিনিটেই লিওনেল মেসি গোল করেছেন। বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার হয়ে ক্যারিয়ারের দ্রুততম গোলটি করে সমর্থকদের জানিয়ে দিয়েছেন ইউরোপের প্রতিযোগিতায় গোলের সেঞ্চুরি করতে বেশি সময় তিনি নেবেন না।তিন মিনিটের গোলটা মেসি তার তিন নম্বর ছেলেকে উৎসর্গ করেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে চেলসির মাঠ থেকে ১-১ গোলে ড্র করে ফেরা দলকে এনে দিয়েছেন প্রথম লিড।
এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটেই মেসি শততম গোলটি পেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তো মেসি। তার কাজ তো শুধু গোল করা নয়। দলকে এক সুতোয় বেঁধে রাখাও। মেসি ঝুঁকি না নিয়ে, বল বাড়ালেন ডেম্বেলের দিকে। ডেম্বেলে ব্যবধান দ্বিগুন করতে ভুল করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে মেসির সেই বিশেষ ক্ষণ।
ইতিহাসের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে পেয়ে গেলেন ইউরোপের প্রতিযোগিতায় নিজের ১০০ গোল। সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে দলের জয় নিশ্চিত করলেন। বার্সেলোনাকে নিয়ে গেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। এরপরে দু’দলই আরো কিছু সুযোগ পেয়েছে কিন্তু গোল করতে পারেনি। বার্সার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চেলসির উইলিয়ান-হ্যাজার্ডরা আক্রমণ শানিয়েছেন কিন্তু ছোট ছোট ভুলে গোল করতে পারেননি। আর বার্সার জয়ে বিশেষ করে মেসির দুই গোলে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক কোর্তোয়ার বেশ অবদান আছে। ভুল করে মেসির গোল দুটি যে হজম করেছেন বেলজিয়ামের এই গোলরক্ষক।
চ্যাম্পিয়নস লিগের অপর ম্যাচে বেসিকটাসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্না মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলের ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল। বার্সেলোনা-চেলসি এবং বায়ার্না মিউনিখ ম্যাচের মধ্য দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের আট দল নির্ধারণ হয়ে গেছে। লা লিগার রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং সেভিয়া কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
ইংলিশ লিগ থেকে আছে ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুল। ইতালির সিরি আ থেকে জুভেন্টাস ও রোমা। অন্যটি দলটি জার্মানির লিগ বুন্দেসলিগার বার্য়ান মিউনিখ। আগামী শুক্রবার চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিনই নির্ধারণ হবে কে কার মুখোমুখি হচ্ছে।
আশা জাগিয়েও হলো না!
মুশফিক পারলেন, পারলেন না মুশফিক। প্রচণ্ড চাপের মুখে আরও একবার দলকে টানার দায়িত্বটা দারুণভাবে সামলেছেন মুশফিক। কিন্তু তাঁর দুর্দান্ত এক ফিফটিও ১৭৭ রান তাড়া করার কাজটা সহজ করতে পারল না। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। রানের ব্যবধান বাংলাদেশের লড়াইটা বোঝাতে পারছে না। পারছে না মুশফিকের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসের বীরত্বও। পরাজিতের জন্য যে কাব্যগাথা তো দূরের কথা, কোনো সান্ত্বনাও বরাদ্দ নেই!
প্রেমাদাসার উইকেটে পেসাররা ভালো করেন। অন্তত এমনটাই শোনা গিয়েছিল সফরের আগে। কিন্তু আজ বাংলাদেশ ডুবল এক স্পিনারের কাছে। ওয়াশিংটন সুন্দরের সামনেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলা লিটন, ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া তামিম কিংবা ছন্দের খোঁজে থাকা সৌম্য—সবাই হার মেনে গেলেন সুন্দরের সুন্দর অফস্পিনের সামনে।
সুন্দরের কারণেই বাংলাদেশের শুরুটা অমন অসুন্দর হয়ে দাঁড়াল। প্রথম স্পেলের প্রত্যেক ওভারেই একটি করে উইকেট নিয়েছেন সুন্দর। ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশও যেন হারিয়ে ফেলছিল জয়ের পথ। তবু আশায় ছিল বাংলাদেশ, মুশফিকুর রহিম যে ছিলেন। মাহমুদউল্লাহও মাত্র উইকেটে এসেছেন। আশা বাঁধতেই পারে দল।
আগের ম্যাচেই যেখানে খুশি বল পাঠিয়েছেন মুশফিক। পাওয়ার প্লের শেষ দুই বলে নেমেই টানা দুই চার মেরে মাহমুদউল্লাহও ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, তিনিও ভালো কিছু দেখাতে চান। কিন্তু প্রথম দুই বলেই ৮ বলের ইনিংসের বাউন্ডারিগুলো মেরে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। যুজবেন্দ্র চাহালের বাজে একটা বলে এর চেয়েও দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৯ম ওভারেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। জয় তখনো ১১৫ রান দূরে।
মুশফিক-সাব্বির তবু পথ হারাতে দেননি দলকে। দুজনের ব্যাটে রানরেটটাও নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশের। ১৩তম ওভারেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৭ ওভারে ৭৩ রান, বাংলাদেশ কি পারবে?
এমন সময়ই পথ হারাল বাংলাদেশ। ১৪ থেকে ১৬-এই তিন ওভারে এল ১৬ রান। ৪ ওভারে ৫৭ রানের কঠিন সমীকরণে পড়ে ১৭তম ওভার শুরু হলো। দ্বিতীয় বলে চার মেরে চতুর্থ বলেই আউট সাব্বির। বাংলাদেশের হার কি লেখা হয়েই গেল?
মোহাম্মদ সিরাজের ১৮তম ওভারে ১৬ রান এল। সমীকরণটা দাঁড়াল ১২ বলে ৩৩। ১৯তম ওভারে ৫ রান ম্যাচটা সেখানেই শেষ করে দিল। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ২ রানে একটি উইকেট মুশফিকের অসম্ভব কিছু করার সম্ভাবনাটাও শেষ করে দিল। মুশফিক তবু দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেন। তাতে আফসোসটা কেবল বাড়লই।
বাংলাদেশ যদি একটা ওভার মেরে খেলে বেশি রান তুলতে পারত! কিংবা বল হাতে একটা ওভারে রানে যদি আরও একটু বাঁধ দেওয়া যেত। শেষের সমীকরণটা চাপের জগদ্দল পাথর হয়ে বসত না নিশ্চয়ই!
হেরে যাওয়া ম্যাচে প্রাপ্তি খোঁজা বোকামি। তবে শুক্রবারের অলিখিত সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ নামবে, তা কিন্তু বলাই যায়।
প্রেমাদাসার উইকেটে পেসাররা ভালো করেন। অন্তত এমনটাই শোনা গিয়েছিল সফরের আগে। কিন্তু আজ বাংলাদেশ ডুবল এক স্পিনারের কাছে। ওয়াশিংটন সুন্দরের সামনেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলা লিটন, ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া তামিম কিংবা ছন্দের খোঁজে থাকা সৌম্য—সবাই হার মেনে গেলেন সুন্দরের সুন্দর অফস্পিনের সামনে।
সুন্দরের কারণেই বাংলাদেশের শুরুটা অমন অসুন্দর হয়ে দাঁড়াল। প্রথম স্পেলের প্রত্যেক ওভারেই একটি করে উইকেট নিয়েছেন সুন্দর। ৪০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশও যেন হারিয়ে ফেলছিল জয়ের পথ। তবু আশায় ছিল বাংলাদেশ, মুশফিকুর রহিম যে ছিলেন। মাহমুদউল্লাহও মাত্র উইকেটে এসেছেন। আশা বাঁধতেই পারে দল।
আগের ম্যাচেই যেখানে খুশি বল পাঠিয়েছেন মুশফিক। পাওয়ার প্লের শেষ দুই বলে নেমেই টানা দুই চার মেরে মাহমুদউল্লাহও ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, তিনিও ভালো কিছু দেখাতে চান। কিন্তু প্রথম দুই বলেই ৮ বলের ইনিংসের বাউন্ডারিগুলো মেরে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। যুজবেন্দ্র চাহালের বাজে একটা বলে এর চেয়েও দৃষ্টিকটুভাবে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ৯ম ওভারেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। জয় তখনো ১১৫ রান দূরে।
মুশফিক-সাব্বির তবু পথ হারাতে দেননি দলকে। দুজনের ব্যাটে রানরেটটাও নিয়ন্ত্রণে ছিল বাংলাদেশের। ১৩তম ওভারেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ৭ ওভারে ৭৩ রান, বাংলাদেশ কি পারবে?
এমন সময়ই পথ হারাল বাংলাদেশ। ১৪ থেকে ১৬-এই তিন ওভারে এল ১৬ রান। ৪ ওভারে ৫৭ রানের কঠিন সমীকরণে পড়ে ১৭তম ওভার শুরু হলো। দ্বিতীয় বলে চার মেরে চতুর্থ বলেই আউট সাব্বির। বাংলাদেশের হার কি লেখা হয়েই গেল?
মোহাম্মদ সিরাজের ১৮তম ওভারে ১৬ রান এল। সমীকরণটা দাঁড়াল ১২ বলে ৩৩। ১৯তম ওভারে ৫ রান ম্যাচটা সেখানেই শেষ করে দিল। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ২ রানে একটি উইকেট মুশফিকের অসম্ভব কিছু করার সম্ভাবনাটাও শেষ করে দিল। মুশফিক তবু দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেন। তাতে আফসোসটা কেবল বাড়লই।
বাংলাদেশ যদি একটা ওভার মেরে খেলে বেশি রান তুলতে পারত! কিংবা বল হাতে একটা ওভারে রানে যদি আরও একটু বাঁধ দেওয়া যেত। শেষের সমীকরণটা চাপের জগদ্দল পাথর হয়ে বসত না নিশ্চয়ই!
হেরে যাওয়া ম্যাচে প্রাপ্তি খোঁজা বোকামি। তবে শুক্রবারের অলিখিত সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ নামবে, তা কিন্তু বলাই যায়।
'পটের গান' বাজিয়েই চলেছে টাইগাররা
মিরপুর টু সিলেট। আবার সিলেট টু কলম্বো। সবখানেই বাংলাদেশের খেলার ধরণ একই। ম্যাচ বদলায় কিন্তু বাংলাদেশের খেলার ধরণ বদলায় না। বাংলাদেশ যেন 'পটের গান' বাজিয়েই চলেছে। যার ভেন্যু এবং প্রতিপক্ষ আলাদা কিন্তু গানের সুরটা পটের গানের মত একই। কথা পাল্টায় কিন্তু সুর পাল্টায় না।
কলম্বোর মাঠ মানেই চার-ছক্কা। ব্যাটসম্যানদের ব্যাট তলোয়ার হয়ে যায়। শ্রীলংকা-ভারতের আগের ম্যাচেও এখানে দু'দলই ১৭০ এর বেশি রান করেছে। আর গত ম্যাচে তো ভারত শ্রীলংকাকে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। অথচ সেখানে বাংলাদেশ কিনা করল ১৩৯ রান। তাও আবার ৮ উইকেট হারিয়ে। ভারতকে এ রান তুলতে বেশি বেগ পোহাতে হয়নি। ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় লক্ষ্যে।
শ্রীলংকার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ৩৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। সৌম্য ১৪ ও তামিম ১৫ রানে আউট হন। মুশফিক (১৪ রান) ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও (১) ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত তিনে ব্যাট করা লিটন দাসের ৩০ বলে ৩৪ ও অফ ফর্মে থাকা সাব্বির রহমান ২৬ বলে ৩০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে টাইগাররা। ভারতের পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জয়দেভ উদানকাতরা। এছাড়া বিজয় শঙ্করের ২ উইকেটের পাশাপাশি একটি করে উইকেট নেন চাহাল ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের হয়ে শেখর ধাওয়ান ৫৫ রান করেন। এছাড়া রায়নার ঠান্ডা মাথায় খেলা ২৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস ভারতকে লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। পরে মানিশ পান্ডের অপরাজিত ২৬ রানে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের হয়ে রুবেল হোসেন দু'টি এবং মোস্তাফিজ-তাসকিন একটি করে উইকেট নেন। আগামী ১০ মার্চ বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী ম্যাচ স্বাগতিক শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে।
কলম্বোর মাঠ মানেই চার-ছক্কা। ব্যাটসম্যানদের ব্যাট তলোয়ার হয়ে যায়। শ্রীলংকা-ভারতের আগের ম্যাচেও এখানে দু'দলই ১৭০ এর বেশি রান করেছে। আর গত ম্যাচে তো ভারত শ্রীলংকাকে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। অথচ সেখানে বাংলাদেশ কিনা করল ১৩৯ রান। তাও আবার ৮ উইকেট হারিয়ে। ভারতকে এ রান তুলতে বেশি বেগ পোহাতে হয়নি। ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় লক্ষ্যে।
শ্রীলংকার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ৩৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। সৌম্য ১৪ ও তামিম ১৫ রানে আউট হন। মুশফিক (১৪ রান) ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও (১) ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত তিনে ব্যাট করা লিটন দাসের ৩০ বলে ৩৪ ও অফ ফর্মে থাকা সাব্বির রহমান ২৬ বলে ৩০ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে টাইগাররা। ভারতের পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জয়দেভ উদানকাতরা। এছাড়া বিজয় শঙ্করের ২ উইকেটের পাশাপাশি একটি করে উইকেট নেন চাহাল ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের হয়ে শেখর ধাওয়ান ৫৫ রান করেন। এছাড়া রায়নার ঠান্ডা মাথায় খেলা ২৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস ভারতকে লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। পরে মানিশ পান্ডের অপরাজিত ২৬ রানে ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশের হয়ে রুবেল হোসেন দু'টি এবং মোস্তাফিজ-তাসকিন একটি করে উইকেট নেন। আগামী ১০ মার্চ বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী ম্যাচ স্বাগতিক শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে।
‘...তবে আমাদের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত’
• কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফি হার দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ।
• এ পরাজয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় তুলেছেন।
• মাহমুদউল্লাহ বলছেন, তাঁদের একটি ম্যাচ দরকার, যেটি জিততে পারলে ছন্দ ফিরে পাবেন।
অধিক শোকে মানুষ শুধু পাথরই হয় না; কখনো কখনো ভাবনা–দুর্ভাবনার ঊর্ধ্বেও চলে যায়! বৃহস্পতিবার ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহকে দেখে সেটাই মনে হলো। কখনো প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখে তাঁর হতাশার রেখা ফুটে উঠল, তো পরক্ষণেই হাসি!
সেই কবে থেকে বাংলাদেশ ছন্দ হারিয়েছে। এক ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হয় তো বোলিংটা খারাপ। আরেক ম্যাচে যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ে ম্লান বোলারদের সাফল্য। কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না বাংলাদেশ দলের! কেন? কী বলবেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক? মাহমুদউল্লাহ হাসলেন, ‘উপায়টা হচ্ছে, আমাদের ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলার বিকল্প নেই। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে সবকিছুর সারমর্ম করতে হবে। যেদিন সবকিছু ভালো করব, সেদিন জিতব।’
এই ম্যাচে সৌম্য সরকার ‘ভালো’ শুরু এনে দিয়েছেন। লিটন দাস, সাব্বির রহমান রান পেয়েছেন। নিদাহাস ট্রফিতে প্রেমাদাসায় ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের পরও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। যেখানে দলের পরাজয়ে ব্যক্তিগত বড় অর্জনই মূল্যহীন হয়ে পড়ে, সেখানে এই ছোট ছোট অর্জনের জায়গা কোথায়!
প্রসঙ্গটা টানাতে মাহমুদউল্লাহ খানিকটা বিরক্তই হলেন, ‘অর্জনগুলো মোটেও বড় মনে হচ্ছে না। তাহলে এভাবে হতাশা প্রকাশ করতাম না। ভালো করতে পারছি না বলেই এভাবে বলছি। ছোট ছোট অর্জন যদি বড় করে দেখি, তবে আমাদের মনে হয় ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত! আমাদের আরও অনেক বড় কিছু করার সামর্থ্য আছে। আমাদের একটি ম্যাচ দরকার, যেটি জিততে পারলে ছন্দ ফিরে পাব। ওই ছন্দের জন্য অপেক্ষা করছি। একবার যদি সেটা পেয়ে যাই, অন্য বাংলাদেশকে দেখতে পাবেন।’
সেই ‘অন্য বাংলাদেশ’কে দেখতে কত দিন পেরিয়ে গেল, অপেক্ষাটা কবে শেষ হবে; বলতে পারেন মাহমুদউল্লাহ
• এ পরাজয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় তুলেছেন।
• মাহমুদউল্লাহ বলছেন, তাঁদের একটি ম্যাচ দরকার, যেটি জিততে পারলে ছন্দ ফিরে পাবেন।
অধিক শোকে মানুষ শুধু পাথরই হয় না; কখনো কখনো ভাবনা–দুর্ভাবনার ঊর্ধ্বেও চলে যায়! বৃহস্পতিবার ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহকে দেখে সেটাই মনে হলো। কখনো প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখে তাঁর হতাশার রেখা ফুটে উঠল, তো পরক্ষণেই হাসি!
সেই কবে থেকে বাংলাদেশ ছন্দ হারিয়েছে। এক ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হয় তো বোলিংটা খারাপ। আরেক ম্যাচে যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ে ম্লান বোলারদের সাফল্য। কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না বাংলাদেশ দলের! কেন? কী বলবেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক? মাহমুদউল্লাহ হাসলেন, ‘উপায়টা হচ্ছে, আমাদের ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলার বিকল্প নেই। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে সবকিছুর সারমর্ম করতে হবে। যেদিন সবকিছু ভালো করব, সেদিন জিতব।’
এই ম্যাচে সৌম্য সরকার ‘ভালো’ শুরু এনে দিয়েছেন। লিটন দাস, সাব্বির রহমান রান পেয়েছেন। নিদাহাস ট্রফিতে প্রেমাদাসায় ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের পরও কিছু ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। যেখানে দলের পরাজয়ে ব্যক্তিগত বড় অর্জনই মূল্যহীন হয়ে পড়ে, সেখানে এই ছোট ছোট অর্জনের জায়গা কোথায়!
প্রসঙ্গটা টানাতে মাহমুদউল্লাহ খানিকটা বিরক্তই হলেন, ‘অর্জনগুলো মোটেও বড় মনে হচ্ছে না। তাহলে এভাবে হতাশা প্রকাশ করতাম না। ভালো করতে পারছি না বলেই এভাবে বলছি। ছোট ছোট অর্জন যদি বড় করে দেখি, তবে আমাদের মনে হয় ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া উচিত! আমাদের আরও অনেক বড় কিছু করার সামর্থ্য আছে। আমাদের একটি ম্যাচ দরকার, যেটি জিততে পারলে ছন্দ ফিরে পাব। ওই ছন্দের জন্য অপেক্ষা করছি। একবার যদি সেটা পেয়ে যাই, অন্য বাংলাদেশকে দেখতে পাবেন।’
সেই ‘অন্য বাংলাদেশ’কে দেখতে কত দিন পেরিয়ে গেল, অপেক্ষাটা কবে শেষ হবে; বলতে পারেন মাহমুদউল্লাহ
টি২০ সামর্থ্য প্রশ্নের সম্মুখিন: মাহমুদুল্লাহ
বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টেস্টে যে যথেষ্ঠ ভালো দল তা নিয়ে এখন আর কারো সংশয় নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং টেস্ট সিরিজে হারলেও সামর্থ্য নিয়ে কোন কথা ওঠেনি। কিন্তু টি২০ তে বাংলাদেশে অন্যদল! ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ১০ নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান। এমনকি র্যাংকিংয়ে টাইগারদের উপরে আছে আফগানিস্তানও।
টাইগাররা টি২০ তে শেষ ১২ ম্যাচে জয় পায়নি একটাও। বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থান কেবল জিম্বাবুয়ের। তারা শেষ ১৬ ম্যাচে কোন জয়ের দেখা পায়নি। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত (৯ম্যাচ) থেকে শুরু করে স্কটল্যান্ড (৭ম্যাচ) সবাই আছে বাংলাদেশের উপরে। তাই সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ভালো খেলার সামর্থ্যের ঘাটতির কথা সাকিবের অনুপন্থিতিতে দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও অস্বীকার করেননি।
শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে রিয়াদ বলেন, 'যেহেতু আমরা সাম্প্রতিক সময়ে সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ভালো খেলতে পারছি না। তাই আমার মনে হয় টি২০ তে আমাদের শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। শ্রীলংকা সফর আমাদের প্রকৃত সামর্থ্য প্রমাণের ভালো একটা সুযোগ।'
তবে তার জন্য বাংলাদেশকে নিজেদের সবোর্চ্চটা দিতে হবে বলেও জানান তিনি। অধিনায়ক বলেন, 'আমরা যদি খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনতে পারি তাহলে আশা করছি সিরিজে অনেক দূর যাবো। আমাদের লক্ষ্য শিরোপা জেতা। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে দলের শ্রীলংকায় অনেক কিছু প্রমাণ করার আছে।'
টাইগাররা টি২০ তে শেষ ১২ ম্যাচে জয় পায়নি একটাও। বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থান কেবল জিম্বাবুয়ের। তারা শেষ ১৬ ম্যাচে কোন জয়ের দেখা পায়নি। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত (৯ম্যাচ) থেকে শুরু করে স্কটল্যান্ড (৭ম্যাচ) সবাই আছে বাংলাদেশের উপরে। তাই সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ভালো খেলার সামর্থ্যের ঘাটতির কথা সাকিবের অনুপন্থিতিতে দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও অস্বীকার করেননি।
শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে রিয়াদ বলেন, 'যেহেতু আমরা সাম্প্রতিক সময়ে সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ভালো খেলতে পারছি না। তাই আমার মনে হয় টি২০ তে আমাদের শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। শ্রীলংকা সফর আমাদের প্রকৃত সামর্থ্য প্রমাণের ভালো একটা সুযোগ।'
তবে তার জন্য বাংলাদেশকে নিজেদের সবোর্চ্চটা দিতে হবে বলেও জানান তিনি। অধিনায়ক বলেন, 'আমরা যদি খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনতে পারি তাহলে আশা করছি সিরিজে অনেক দূর যাবো। আমাদের লক্ষ্য শিরোপা জেতা। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে দলের শ্রীলংকায় অনেক কিছু প্রমাণ করার আছে।'
মেসির ফ্রি কিক জাদু মহারণ জেতাল বার্সাকে
বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে তো পড়লেন না, মনে হলো রবারের মতো নিজের দেহটাকে টেনে লম্বা করে বাড়িয়ে দিলেন বাঁ হাত। ইয়ান ওব্লাকের বাঁ হাত নাকি দুর্বল। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ গোলরক্ষক ওই হাতে বলটাকে ঠেলে দিলেন। কিন্তু পারলেন না। ডান হাতের জোর দিয়ে ঠেললেও আসলে পারতেন না।
লিওনেল মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিক যে জাল খুঁজে নিতই। কাঁটা কম্পাসে মেপে নেওয়া ফ্রি কিকটি আগুন গোলার গতি নিয়ে ঢুকল অ্যাটলেটিকোর জালে। ওই এক গোলই এনে দিল তিন পয়েন্ট, যে পয়েন্টের মূল্য আসলে তিন তিরিকে নয়, কিংবা তারও বেশি!
জিরোনার বিপক্ষে মানবদেয়ালের নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া ফ্রি কিকটির স্মৃতি এখনো টাটকা। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন মেসি।
তাঁর ২৬ মিনিটের গোলটি ক্যারিয়ারের মুকুটে যোগ করল নতুন পালক। এই প্রথম টানা তিন ম্যাচে ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন। ক্যারিয়ার গোল হয়ে গেল ৬০০তম। তবে মেসি সবচেয়ে খুশি হবেন এই গোলটাতেই শেষ পর্যন্ত বার্সা জিতল বলে।
গত ম্যাচে তাঁর ফ্রি কিকের পরও বার্সা ড্র করেছিল, সেটিও লাস পালমাসের মতো দলের বিপক্ষে। লিগে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের তিনটায় ড্র।
বার্সার ৬ পয়েন্ট হারানোর সর্বোচ্চ ফায়দা তুলে অ্যাটলেটিকো ঘাড়ে চেপে বসেছিল। এই ম্যাচ অ্যাটলেটিকো জিতলে পয়েন্ট ব্যবধান হতো দুই। আর বার্সা জিতলে হয়ে যাবে ৮। ফলে মরণপণ লড়াই করেছিল। ৮৫ মিনিটে বার্সার জালে বলও পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু অফসাইডের খাঁড়ায় বাতিল হয় সেই গোল। এর আগে ৭৫ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের গোলও বাতিল হয়েছে অফসাইডে।
কেবল টিকে থেকেছে মেসির গোলটাই।
লিওনেল মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিক যে জাল খুঁজে নিতই। কাঁটা কম্পাসে মেপে নেওয়া ফ্রি কিকটি আগুন গোলার গতি নিয়ে ঢুকল অ্যাটলেটিকোর জালে। ওই এক গোলই এনে দিল তিন পয়েন্ট, যে পয়েন্টের মূল্য আসলে তিন তিরিকে নয়, কিংবা তারও বেশি!
জিরোনার বিপক্ষে মানবদেয়ালের নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া ফ্রি কিকটির স্মৃতি এখনো টাটকা। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন মেসি।
তাঁর ২৬ মিনিটের গোলটি ক্যারিয়ারের মুকুটে যোগ করল নতুন পালক। এই প্রথম টানা তিন ম্যাচে ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন। ক্যারিয়ার গোল হয়ে গেল ৬০০তম। তবে মেসি সবচেয়ে খুশি হবেন এই গোলটাতেই শেষ পর্যন্ত বার্সা জিতল বলে।
গত ম্যাচে তাঁর ফ্রি কিকের পরও বার্সা ড্র করেছিল, সেটিও লাস পালমাসের মতো দলের বিপক্ষে। লিগে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের তিনটায় ড্র।
বার্সার ৬ পয়েন্ট হারানোর সর্বোচ্চ ফায়দা তুলে অ্যাটলেটিকো ঘাড়ে চেপে বসেছিল। এই ম্যাচ অ্যাটলেটিকো জিতলে পয়েন্ট ব্যবধান হতো দুই। আর বার্সা জিতলে হয়ে যাবে ৮। ফলে মরণপণ লড়াই করেছিল। ৮৫ মিনিটে বার্সার জালে বলও পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু অফসাইডের খাঁড়ায় বাতিল হয় সেই গোল। এর আগে ৭৫ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের গোলও বাতিল হয়েছে অফসাইডে।
কেবল টিকে থেকেছে মেসির গোলটাই।
২০১৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব রোববার
- ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেবে ১০ দল। এরমধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে নির্ধারণ হয়ে গেছে আটটি দলের নাম। আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আইসিসি নতুন নিয়ম করেছে। এতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গে র্যাংকিংয়ে সেরা আট দল সরাসরি ইংল্যান্ডে যাওয়ার টিকিট পেয়েছে। বাকি দুই দল নির্ধারণ হবে আগামীকাল রোববার শুরু হওয়া বাছাইপর্বের মাধ্যমে।
- রোববার শুরু হওয়া এই বাছাইপর্ব শেষ হবে ২৫ মার্চ। এতে অংশ নেবে ১০টি দল। জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত এই বাছাইপর্বে আগামীকাল মাঠে নামবে 'বি' গ্রুপের স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ও নেপাল। এছাড়া আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড। আর 'এ' গ্রুপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনির। অন্য ম্যাচে দুই দ্বীপ রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।ম্যাচগুলো বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে ।
- বাছাইপর্বের ৩৪টি ম্যাচ শেষ হবার পরে অনু্ষ্ঠিত হবে সুপার সিক্স রাউন্ড। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা তিনদল খেলবে সুপার সিক্স রাউন্ড। ওই তিন দলের সেরা দুই দল পাবে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড যাওয়ার টিকিট।
- 'এ' গ্রুপে খেলবে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিয়মিত বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। অন্য দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাপুয়া নিউগিনি। গ্রুপ 'বি' তে আছে সম্প্রতি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা আফগানিস্তান ও ক্রিকেটের অন্যতম দল জিম্বাবুয়ে। এছাড়া স্কটল্যান্ড, নেপাল ও হংকংআছে এই গ্রুপে।
-
- এরই মধ্যে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা আটটি দল হল চার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। এছাড়া স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গে দক্ষিণ আফিকা, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ অংশ নেবে শিরোপার লড়াইয়ে।
'মেসি থাকলে কৌশল খাটে না'
- চলতি মৌসুমে লা লিগার শিরোপা লড়াইটা দুই ঘোড়ার দৌঁড়ে পরিণত হয়েছে। আগামীকাল ক্যাম্প নূতে বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। আর এই ম্যাচটাকে অনেকে শিরোপা নির্ধারক বলে দাবি করছেন। বার্সেলোনার কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে অবশ্য এটাকে শিরোপার নির্ধারক মানতে নারাজ। আর অ্যাথলেটিকো কোচ ডিয়াগো সিমিওনেরও বাস্তবমুখী উত্তর। তিনি মনে করেন, এক ম্যাচ জিতেই শিরোপা ঘরে তোলা অসম্ভব। তবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে চান আর্জেন্টাইন এই কোচ।
- সিমিওনে বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য দল হিসেবে উন্নতি করা। আমরা সব সময় মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পছন্দ করি। আর রোববারের ম্যাচটিও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের এখনো রিয়াল মাদ্রিদ এবং ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলতে হবে। শিরোপা জিততে আমাদের এখনো অনেকটা পথ যেতে হবে।'
-
- আর্জেন্টাইনার এই কোচ বলেন, 'আমাদের সামনে এখনো ১২ টি ম্যাচ আছে। সবগুলো ম্যাচই আমাদের কাছে কোন না কোনভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বার্সার বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়া আমাদের জন্য জরুরি যেহেতু একটা সমীকরণ দাঁড়িয়ে গেছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।'
- সিমিওনে মনে করেন বার্সেলোনর লিওনেল মেসি এবং অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের আঁতোয়ান গ্রিজম্যান দু'জনেই ম্যাচের ফল গড়ে দেওয়ার মতো খেলোয়াড়। তিনি বলেন, 'মেসির মতো একজন ফুটবলার দলে থাকলে কোন পরিকল্পনা কাজে লাগে না। তার প্রতিভা ঈশ্বর প্রদত্ত। আপনি চাইলেই তাকে আটকাতে পারবেন না। আমি শুধু খেলোয়াড়দের বলব আমরা কোথায় যেতে চাই সেদিকে মনোযোগ রাখতে।'
- তবে অ্যাথলেটিকোরও যে গ্রিজম্যান আছেন একথা বলতে ভুলে যাননি সিমিওনে। তিনি গ্রিজম্যানের প্রশংসা করে বলেন, 'গ্রিজম্যান দারুণ ফর্মে আছে। তাই আমি মনে করি না ক্যাম্প নূ থেকে জিতে ফেরা অসম্ভব। সে যখন তার পুরো ফর্মে থাকে তখন সে একাই মেসির মতো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে।'
- বার্সার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে সিমিওনে নিশ্চয় মেসির সমকক্ষ গ্রিজম্যানকে চাইবেন। আর গ্রিজম্যানও নিশ্চয় অতীত ইতিহাস বদলাতে চাইবেন। এখনো যে ক্যাম্প নূ'তে গোল করা হয়নি তার।