বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছাড়বেন মওদুদ
সরকারি দলের যে চার থেকে পাঁচজন বেশি গণতন্ত্রের কথা বলেন তাদের নির্বাচনী এলাকাতেই গণতন্ত্র নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেছেন, তার এই বক্তব্য মিথ্যা বা অসত্য প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতিই ছেড়ে দিবেন।
সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ-তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান। আপনারা যে দৃশ্য দেখবেন তা হচ্ছে, তারা নিজেদের এলাকায় নির্বাচিত হননি, কোন ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে হয়নি। নিজেদের এলাকায় বিরোধী দলকে কোন ঘরোয়া বৈঠক পর্যন্ত তারা করতে দেন না।
জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
'দেশমাতার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার সরকারি ষড়যন্ত্র বন্ধ ও সকল রাজবন্দীর অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি' শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা সকালে উঠে আয়নায় নিজের চেহারা দেখেন, আর বলেন, সত্য কথা বলবেন না মিথ্যা কথা বলবেন। তখনই আপনারা উত্তর পাবেন।
নির্বাচনের বিজয় আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার মানে নীল- নকশা অনুযারি নির্বাচন হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এখন শুধু গেজেট নোটিফিকেশন এবং শপথ গ্রহণ হবে। তো করে নেন (সরকারকে)। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দরকার আছে বলে মনে করি না।
মওদুদ বলেন, সুতরাং এত দিন বিএনপি সন্দেহ করে আসছিলো, আজকে তাদের (সরকার) মনে যা আছে সেটা হঠাৎ করে বলে দিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে সরকার ধরে পড়ে গেছেন। কিন্তু নীল-নকশার নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। এই নীল-নকশা আপনারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিশ্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন যেভাবে হয়েছে বর্তমান সরকারেরও পতন একইভাবে হবে। এটা অবধারিত। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন হাজারীর সভাপতিত্বে সভায় সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
তিনি বলেছেন, তার এই বক্তব্য মিথ্যা বা অসত্য প্রমাণিত হলে তিনি রাজনীতিই ছেড়ে দিবেন।
সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ-তাদের নির্বাচনী এলাকায় যান। আপনারা যে দৃশ্য দেখবেন তা হচ্ছে, তারা নিজেদের এলাকায় নির্বাচিত হননি, কোন ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে হয়নি। নিজেদের এলাকায় বিরোধী দলকে কোন ঘরোয়া বৈঠক পর্যন্ত তারা করতে দেন না।
জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
'দেশমাতার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার সরকারি ষড়যন্ত্র বন্ধ ও সকল রাজবন্দীর অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি' শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা সকালে উঠে আয়নায় নিজের চেহারা দেখেন, আর বলেন, সত্য কথা বলবেন না মিথ্যা কথা বলবেন। তখনই আপনারা উত্তর পাবেন।
নির্বাচনের বিজয় আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার মানে নীল- নকশা অনুযারি নির্বাচন হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এখন শুধু গেজেট নোটিফিকেশন এবং শপথ গ্রহণ হবে। তো করে নেন (সরকারকে)। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দরকার আছে বলে মনে করি না।
মওদুদ বলেন, সুতরাং এত দিন বিএনপি সন্দেহ করে আসছিলো, আজকে তাদের (সরকার) মনে যা আছে সেটা হঠাৎ করে বলে দিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে সরকার ধরে পড়ে গেছেন। কিন্তু নীল-নকশার নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। এই নীল-নকশা আপনারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিশ্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন যেভাবে হয়েছে বর্তমান সরকারেরও পতন একইভাবে হবে। এটা অবধারিত। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন হাজারীর সভাপতিত্বে সভায় সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
অপমানের হাত থেকে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে হবে: ড. কামাল হোসেন
বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন।
তিনি বলেছেন, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে, বিদেশে পাচার করে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হচ্ছে।
লুটপাটকারীদের এই সুযোগ দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু জীবন দেননি, দেশ স্বাধীন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে এই অপমানের হাত থেকে বাচানো ১৬ কোটি মানুষের পবিত্র কর্তব্য। যারা জাতীয় সম্পদ লুটপাট করছেন, তাদেরকে কাঠগড়ায় নিয়ে দাঁড় করাতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনেজাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত 'জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ খসরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মাহতাবুল বাশার, মোশারফ হোসেন, সংগঠনের সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্টত্মফা আমীন প্রমুখ। সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান উল্লেখ করে সভায় সংবিধান প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক ড.কামাল হোসেন বলেন, এ দেশের সম্পদ লুটপাট হয়ে যাবে আর আমরা কি নিরব দর্শক হিসেবে বসে দেখতে থাকবো। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বড় বড় পোস্টার, বঙ্গবন্ধুর ছবি একটা কোনায়। ছোট একটি চিহ্নের মতো। যদি বঙ্গবন্ধুর শত্রুদের একটি সরকার থাকতো।
তাহলে বলা যেত বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার জন্য বাতাস দিয়েছে। কিন্তু এটা তো বলা যায় না। আওয়ামী লীগের সরকারের সময় এটা দেখতে হচ্ছে।
ব্যাংকের টাকা লুটপাট প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর এ ঘনিষ্ট সহচর বলেন, আপনারা ছয় দফা, এগারো দফা আন্দোলনের ইতিহাস জানেন। পুঁজি পাচার এক নম্বর অপরাধ- আমরা যার জন্য পশ্চিামাদের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে, রুখে দাঁয়েছিলাম।
কিন্তু এখন পত্রিকায় যদি দেখতে হয়, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, কেউ অস্বীকার করে না। অর্থমন্ত্রীও অস্বীকার করেন না। যা পাচার হচ্ছে তার দলিল আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- আত্মসাৎকারীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে না।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংসদে অধিকাংশই ছিলেন আইনজীবী। আর ৯০ সালের পর থেকে সংসদে আর আইনজীবীদের দেখা যায় না। ৭০ ভাগই এমপিই ব্যবসায়ী। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেছেন, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে, বিদেশে পাচার করে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হচ্ছে।
লুটপাটকারীদের এই সুযোগ দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু জীবন দেননি, দেশ স্বাধীন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে এই অপমানের হাত থেকে বাচানো ১৬ কোটি মানুষের পবিত্র কর্তব্য। যারা জাতীয় সম্পদ লুটপাট করছেন, তাদেরকে কাঠগড়ায় নিয়ে দাঁড় করাতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনেজাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত 'জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ খসরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মাহতাবুল বাশার, মোশারফ হোসেন, সংগঠনের সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্টত্মফা আমীন প্রমুখ। সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান উল্লেখ করে সভায় সংবিধান প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক ড.কামাল হোসেন বলেন, এ দেশের সম্পদ লুটপাট হয়ে যাবে আর আমরা কি নিরব দর্শক হিসেবে বসে দেখতে থাকবো। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বড় বড় পোস্টার, বঙ্গবন্ধুর ছবি একটা কোনায়। ছোট একটি চিহ্নের মতো। যদি বঙ্গবন্ধুর শত্রুদের একটি সরকার থাকতো।
তাহলে বলা যেত বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার জন্য বাতাস দিয়েছে। কিন্তু এটা তো বলা যায় না। আওয়ামী লীগের সরকারের সময় এটা দেখতে হচ্ছে।
ব্যাংকের টাকা লুটপাট প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর এ ঘনিষ্ট সহচর বলেন, আপনারা ছয় দফা, এগারো দফা আন্দোলনের ইতিহাস জানেন। পুঁজি পাচার এক নম্বর অপরাধ- আমরা যার জন্য পশ্চিামাদের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে, রুখে দাঁয়েছিলাম।
কিন্তু এখন পত্রিকায় যদি দেখতে হয়, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, কেউ অস্বীকার করে না। অর্থমন্ত্রীও অস্বীকার করেন না। যা পাচার হচ্ছে তার দলিল আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে- আত্মসাৎকারীদের বিচার কার্যকর হচ্ছে না।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংসদে অধিকাংশই ছিলেন আইনজীবী। আর ৯০ সালের পর থেকে সংসদে আর আইনজীবীদের দেখা যায় না। ৭০ ভাগই এমপিই ব্যবসায়ী। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
জনগণ জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে চায় না: কাদের
জঙ্গিবাদের 'পৃষ্ঠপোষক' বিএনপিকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, গণতন্ত্রবিরোধী সেই অশুভ শক্তি বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেটা আগামী নির্বাচনে আবারও প্রমাণ হবে।'
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'তাদের কাজেকর্মে প্রমাণ হয়েছে তারা জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। মুক্তিযুদ্ধের মুখোশ পড়ে তারা নির্বাচন আসে। তারা মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ লালন ও পালন করে না।'
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি আজ দিশেহারা ও বেপরোয়া। গত নয় বছরে নয় মিনিটের জন্যও আন্দোলন করতে পারেনি। জনগণ তাদের নেতিবাচক রাজনীতির সাথে নেই। তাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণ সারা দেয়নি। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়— দেখতে দেখতে নয় বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপির আন্দোলনে মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। বিএনপি হচ্ছে এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। ঘরে বসে প্রেস বিফিংয়ে মিথ্যাচারের ভাঙা রের্কড বাজায়।'
দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজাপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিএনপির নেত্রী দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছে। আর বিএনপি বলে— সরকার তাকে জেলে পাঠিয়েছে। এটা কি সরকারের আদেশ না আদালতের আদেশ? তাহলে তাদের আন্দোলন কাদের বিরুদ্ধে? আদালতের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
এখন বিএনপি বলে— বিএনপিকে নাকি সরকার দেউলিয়া করে ফেলেছে। আমি বলবো— নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিএনপিকে দেউলিয়া করতে হবে না। আত্মঘাতী, নেতিবাচক রাজনীতি করে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আগুন দিয়ে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা কি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে? এরা ক্ষমতায় এলে এদের হাতে মানুষ কি নিরাপদ? এটা মুক্তিযুদ্ধের দেশ। তাই বিএনপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশ বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। কর্মীরা হলো আওয়ামী লীগের প্রাণ। কর্মীরা বাঁচলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে। দলের দুর্যোগের সময় এই কর্মীরাই দলকে বাঁচিয়ে রাখে।'
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মিসভায় অন্যদের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামছুর নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছানায়ার হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, গণতন্ত্রবিরোধী সেই অশুভ শক্তি বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সেটা আগামী নির্বাচনে আবারও প্রমাণ হবে।'
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'তাদের কাজেকর্মে প্রমাণ হয়েছে তারা জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। মুক্তিযুদ্ধের মুখোশ পড়ে তারা নির্বাচন আসে। তারা মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ লালন ও পালন করে না।'
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি আজ দিশেহারা ও বেপরোয়া। গত নয় বছরে নয় মিনিটের জন্যও আন্দোলন করতে পারেনি। জনগণ তাদের নেতিবাচক রাজনীতির সাথে নেই। তাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণ সারা দেয়নি। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়— দেখতে দেখতে নয় বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপির আন্দোলনে মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না। বিএনপি হচ্ছে এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। ঘরে বসে প্রেস বিফিংয়ে মিথ্যাচারের ভাঙা রের্কড বাজায়।'
দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজাপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিএনপির নেত্রী দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়েছে। আর বিএনপি বলে— সরকার তাকে জেলে পাঠিয়েছে। এটা কি সরকারের আদেশ না আদালতের আদেশ? তাহলে তাদের আন্দোলন কাদের বিরুদ্ধে? আদালতের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
এখন বিএনপি বলে— বিএনপিকে নাকি সরকার দেউলিয়া করে ফেলেছে। আমি বলবো— নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিএনপিকে দেউলিয়া করতে হবে না। আত্মঘাতী, নেতিবাচক রাজনীতি করে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। আগুন দিয়ে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা কি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে? এরা ক্ষমতায় এলে এদের হাতে মানুষ কি নিরাপদ? এটা মুক্তিযুদ্ধের দেশ। তাই বিএনপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশ বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। কর্মীরা হলো আওয়ামী লীগের প্রাণ। কর্মীরা বাঁচলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে। দলের দুর্যোগের সময় এই কর্মীরাই দলকে বাঁচিয়ে রাখে।'
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মিসভায় অন্যদের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামছুর নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছানায়ার হোসেন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাক্স কাড়াকাড়ির দিন শেষ: তোফায়েল
ভোলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমি ভোলাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি। এখানকার গ্রামে গেলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। ভোলায় গ্যাসলাইন সংযোগ করেছি। অনেকে পেয়েছেন আবার অনেকে পাননি। মাঝপথে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। খুব তাড়াতাড়ি প্রত্যেক ঘরে গ্যাসলাইন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমার এ জীবন ভোলার মানুষের জন্য উৎসর্গ করলাম।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ বছরের শেষে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। এ নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনেই। যারা বলেন তত্ত্বাবধায়ক ও সহায়ক সরকার চাই, তাদের এ স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না। অতীতের মতো বাক্স কাড়াকাড়ি করার দিন শেষ হয়ে গেছে।
প্রবীণ এ রাজনীতিক বুধবার সন্ধ্যায় ভোলার বাংলা স্কুল মাঠে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্য নবায়ন উপলক্ষে সবাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ভোলা-বরিশাল ব্রিজের কাজ এ বছরের মধ্যেই শুরু করার চেষ্টা করার কথা জানান। এখানকার গ্যাসভিত্তিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভোলায় এক সময় মাত্র দুই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। এখান প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে চলেছে। ভোলার বিদ্যুৎ এরই মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের অন্ধকার ঘুচিয়ে দিয়েছে।
পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাজিবুল্লাহ নাজুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, পৌর মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন।
অনুষ্ঠান পরিচানা করেন পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার ও পৌরসভার কাউন্সিরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ বছরের শেষে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। এ নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনেই। যারা বলেন তত্ত্বাবধায়ক ও সহায়ক সরকার চাই, তাদের এ স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না। অতীতের মতো বাক্স কাড়াকাড়ি করার দিন শেষ হয়ে গেছে।
প্রবীণ এ রাজনীতিক বুধবার সন্ধ্যায় ভোলার বাংলা স্কুল মাঠে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্য নবায়ন উপলক্ষে সবাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ভোলা-বরিশাল ব্রিজের কাজ এ বছরের মধ্যেই শুরু করার চেষ্টা করার কথা জানান। এখানকার গ্যাসভিত্তিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভোলায় এক সময় মাত্র দুই মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। এখান প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে চলেছে। ভোলার বিদ্যুৎ এরই মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের অন্ধকার ঘুচিয়ে দিয়েছে।
পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নাজিবুল্লাহ নাজুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, পৌর মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন।
অনুষ্ঠান পরিচানা করেন পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার ও পৌরসভার কাউন্সিরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
কৃতজ্ঞ ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা সফল করায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনসভায় লাখ লাখ জনতার স্বতঃস্টম্ফূর্ত উপস্থিতিতে যেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা আবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফিরে আসে। জনসভা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জনসভায় আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রচণ্ড গরম ও নানা কষ্ট স্বীকার করে এই বিশাল জনসভার সঙ্গে একাত্ম হতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
৭ মার্চের জনসভায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সবসময় বাংলার মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণত সাপ্তাহিক কর্মদিবসে কোনো বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করে না। কিন্তু ৭ মার্চের দেওয়া বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ দল-মত নির্বিশেষে বাঙালির সম্পদ, বিশ্বের সম্পদ।
তাই শুধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিবেচনা করেই এদিন আওয়ামী লীগ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি নেয়। এই কর্মসূচির কারণে রাজধানী ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। রাজধানীর কোনো কোনো সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় জনগণের যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জনসভায় লাখ লাখ জনতার স্বতঃস্টম্ফূর্ত উপস্থিতিতে যেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা আবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফিরে আসে। জনসভা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জনসভায় আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রচণ্ড গরম ও নানা কষ্ট স্বীকার করে এই বিশাল জনসভার সঙ্গে একাত্ম হতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
৭ মার্চের জনসভায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সবসময় বাংলার মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেন। এ কারণে আওয়ামী লীগ সাধারণত সাপ্তাহিক কর্মদিবসে কোনো বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করে না। কিন্তু ৭ মার্চের দেওয়া বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ দল-মত নির্বিশেষে বাঙালির সম্পদ, বিশ্বের সম্পদ।
তাই শুধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিবেচনা করেই এদিন আওয়ামী লীগ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি নেয়। এই কর্মসূচির কারণে রাজধানী ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায় কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। রাজধানীর কোনো কোনো সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় জনগণের যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এ জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
খালেদা জানতে চেয়েছেন, আমি জেলে কেন?
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি জেলে কেন?
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তাঁর আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
খোকন বলেন, ‘খালেদা জিয়া বারবার জানতে চেয়াছেন, তিনি জেলে কেন?
আমি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি, কোনো অনুমোদন দিইনি, কোনো চেক সই করিনি। আমি জেলে কেন?’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের কথার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তাঁরা (আইনজীবীরা) ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ করেছেন।
আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের সঙ্গে আইনগত বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ–আলোচনা করেছি। গতকাল বুধবার রাজনৈতিক নেতারা আলোচনা করেছেন।
আমরা দীর্ঘ এক মাস আইনজীবী হিসেবে তাঁর সঙ্গে কোনো আলাপ করতে পারিনি। আমরা অনুমতি নিয়ে দেখা করেছি। আপিল আবেদন থেকে শুরু করে, জামিনের বিষয়ে আলাপ–আলোচনা করেছি। ম্যাডাম জানতে চেয়েছেন যে জামিন আবেদনের কী হলো? সে বিষয়ে তাঁকে আমরা বলেছি।’
ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতের ওপর খালেদা জিয়া আস্থাশীল বলেও জানান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী রোববার আদালত জামিনের আদেশ দেবেন। দেশের মানুষ নিম্ন আদালতের ওপর আস্থাশীল না হলেও উচ্চ আদালতের ওপর আস্থাশীল। তেমনি ম্যাডামও উচ্চ আদালতের ওপর আস্থাশীল।
এর আগে আইনজীবীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন। অন্য তিন আইনজীবী হলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজাক খান ও সানাউল্লাহ মিয়া।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তাঁর আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন।
খোকন বলেন, ‘খালেদা জিয়া বারবার জানতে চেয়াছেন, তিনি জেলে কেন?
আমি কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি, কোনো অনুমোদন দিইনি, কোনো চেক সই করিনি। আমি জেলে কেন?’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের কথার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তাঁরা (আইনজীবীরা) ১ ঘণ্টা ৫ মিনিট খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ করেছেন।
আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের সঙ্গে আইনগত বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ–আলোচনা করেছি। গতকাল বুধবার রাজনৈতিক নেতারা আলোচনা করেছেন।
আমরা দীর্ঘ এক মাস আইনজীবী হিসেবে তাঁর সঙ্গে কোনো আলাপ করতে পারিনি। আমরা অনুমতি নিয়ে দেখা করেছি। আপিল আবেদন থেকে শুরু করে, জামিনের বিষয়ে আলাপ–আলোচনা করেছি। ম্যাডাম জানতে চেয়েছেন যে জামিন আবেদনের কী হলো? সে বিষয়ে তাঁকে আমরা বলেছি।’
ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতের ওপর খালেদা জিয়া আস্থাশীল বলেও জানান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী রোববার আদালত জামিনের আদেশ দেবেন। দেশের মানুষ নিম্ন আদালতের ওপর আস্থাশীল না হলেও উচ্চ আদালতের ওপর আস্থাশীল। তেমনি ম্যাডামও উচ্চ আদালতের ওপর আস্থাশীল।
এর আগে আইনজীবীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন। অন্য তিন আইনজীবী হলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজাক খান ও সানাউল্লাহ মিয়া।
আগামী নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পাবে আ'লীগ: সাঈদ খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত ৭ মার্চের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে মালিক-শ্রমিক যৌথ সভায় একথা বলেন মেয়র।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খন্দকার এনায়েত উল্যাহর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফী প্রমুখ।
মেয়র খোকন বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব দিকনির্দেশনা দেবেন তা পাড়া-মহল্লার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করে যে অর্থনৈতিক মুক্তির যাত্রা শুরু হয়েছে তা বাস্তবে রূপ দিতে হবে।'
মেয়র বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে। তাই যত দিন এই পৃথিবীতে মানবসভ্যতা থাকবে, যত দিন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা থাকবে, যতদিন জাতিসংঘ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ টিকে থাকবে।'
গাইবান্ধার চার আসনে জাপার প্রার্থী চূড়ান্ত: এরশাদ
আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য গাইবান্ধার চারটি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রোববার দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রোববার দুপুরে পলাশবাড়ি উপজেলা সদরে এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা দিলারা খন্দকার শিল্পীর বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এরশাদ।
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। আশা করি আগামী নির্বাচনে জাপা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করবে।’ তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বলেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে আবদুর রশিদ সরকার, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে দিলারা খন্দকার শিল্পী ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে গোলাম শহীদ।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশে খুন, গুম, অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। জনগণ এসব দেখতে চায় না। তিনি বলেন, জাপা সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায়। এ জন্য শিগগিরই তাঁর দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। তাঁদের পদত্যাগের পর তিনিও বিশেষ দূতের আসন থেকে পদত্যাগ করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁর দল মহাজোটে থাকবে কি না, তা এখনই বলার সময় আসেনি। সময়ই তা বলে দেবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এরশাদের সঙ্গে ছিলেন তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা দিলারা খন্দকার শিল্পী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ আকতার, সাবেক সাংসদ ও জেলা জাপা সভাপতি আবদুর রশিদ সরকার, সদর উপজেলা জাপার সভাপতি শাহজাহান খান প্রমুখ। এরশাদের আগমন উপলক্ষে সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি উপজেলার বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
রোববার দুপুরে পলাশবাড়ি উপজেলা সদরে এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা দিলারা খন্দকার শিল্পীর বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এরশাদ।
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। আশা করি আগামী নির্বাচনে জাপা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করবে।’ তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বলেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে আবদুর রশিদ সরকার, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে দিলারা খন্দকার শিল্পী ও গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে গোলাম শহীদ।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশে খুন, গুম, অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। জনগণ এসব দেখতে চায় না। তিনি বলেন, জাপা সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায়। এ জন্য শিগগিরই তাঁর দলের মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। তাঁদের পদত্যাগের পর তিনিও বিশেষ দূতের আসন থেকে পদত্যাগ করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁর দল মহাজোটে থাকবে কি না, তা এখনই বলার সময় আসেনি। সময়ই তা বলে দেবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এরশাদের সঙ্গে ছিলেন তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা দিলারা খন্দকার শিল্পী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খালেদ আকতার, সাবেক সাংসদ ও জেলা জাপা সভাপতি আবদুর রশিদ সরকার, সদর উপজেলা জাপার সভাপতি শাহজাহান খান প্রমুখ। এরশাদের আগমন উপলক্ষে সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি উপজেলার বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জাফর ইকবালের ওপর হামলায় বিএনপির নিন্দা
- সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। হামলার ঘটনাকে 'ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র' বলে মনে করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
- শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
- এর আগে বিকেলে সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। হামলাকারী সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়লেও তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
- মির্জা ফখরুল বলেন, অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। এটি আরেকটি চক্রান্ত। যারা দেশে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, এটা তাদেরই চক্রান্ত হতে পারে।
নির্বাচনে না যাওয়ার হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ হবে না
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে যথাসময়েই আগামী নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছেন, তার জন্য নির্বাচনে না যাওয়ার হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলের ২১ দফা দাবিতে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী নির্বাচনকে দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, সামনে কঠিন দিন। আগামী নির্বাচনেই স্থির হবে, আমরা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা টিকিয়ে রাখব, নাকি বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি-লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদী রাজনীতির কাছে দেশকে তুলে দেব। তাই ক্ষমতার মালিক জনগণকে নির্ধারণ করতে হবে, আগামী নির্বাচনে দেশ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাবে, নাকি আবার দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও জঙ্গিবাদের রাজনীতিতে ফিরে যাবে। এই নির্বাচনে যদি অসাম্প্রদায়িক শক্তি হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশ আবার হেরে যাবে। মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
অসাম্প্রদায়িক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে ইতিহাসের উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা উল্টো যাত্রার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছি। অসাম্প্রদায়িক ঐক্য আরও সুদৃঢ় করে তা অব্যাহত রাখতে হবে। এই অগ্রযাত্রা ধ্বংস করতে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদী অপশক্তি কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা বুক চিতিয়ে প্রতিহত করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় প্রসঙ্গে মেনন বলেন, অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন- এসব মামলা ও রায়ের মধ্য দিয়ে জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু জিয়া পরিবারের ঐতিহ্যই হচ্ছে, দুর্নীতি-লুটপাট ও বিদেশে অর্থপাচার করা।
বর্তমান সরকারের সময় যুদ্ধাপরাধী ও ২১ আগস্টের খুনিদের বিচারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সরকার বিএনপি-জামায়াতের কলিজায় হাত দিয়েছে। তাই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখতে পারে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য। যারা বলেন এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় তারাই যথেষ্ট- তারা আসলে বিএনপি-জামায়াতের এগিয়ে যাওয়ার পথই খুলে দিচ্ছেন।
শনিবারের এই মহাসমাবেশকে ঘিরে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। সারাদেশ থেকে দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দেন। তারা বিভিন্ন রকম স্লোগানসহ বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে সমাবেশস্থলকে মুখর করে রাখেন। এ উপলক্ষে মহাসমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা লাল পতাকা ও বর্ণাঢ্য সাজে সাজিয়ে তোলা হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় গিয়ে ১৪ দল ও সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই করছে। দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। তবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে অকপটে স্বীকার করছেন তিনি, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতার নীতি এখনও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেননি তারা।
মেনন বলেন, এখনও সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে শেষ করতে পারেননি। বরং সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। হেফাজতিদের কাছে নতিস্বীকার করে পাঠ্যপুস্তককে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। যারা শাপলা চত্বরে বসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিল, তারাই আজ অনেকের বন্ধু হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-এমপিদের বেতন বাড়ে। কিন্তু শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর কথা বললেই বলা হয়, বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশে ন্যায্যতাভিত্তিক সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আছে, কিন্তু সমতা নেই। আয়-বৈষম্য আর ধনী-গরিবের বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করছে। দারিদ্র্যসীমা কমলেও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কম নয়। তিন কোটি মানুষকে দরিদ্র রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়া যাবে না। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে উন্নয়নের কারিগর শ্রমিক শ্রেণির ভাগ্যের উন্নয়ন করতে হবে।
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তথা ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, একদিনের জন্যও যদি আমরা এই ঐক্য থেকে সরে যাই, তাহলে দেখা যাবে আমাদের ওপর কত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চেপে ধরবে। কত সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী হামলা আমাদের ছিন্নভিন্ন করে দেবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করলেও জাতির মুক্তি অর্জিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গরিব মানুষের মুক্তি আজও আসেনি। তাই সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় সঙ্গীত ও আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, ড. সুশান্ত দাস, ইকবাল কবির জাহিদ, হাজেরা সুলতানা, মনোজ সাহা, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, কামরুল আহসান প্রমুখ। পরিচালনা করেন পলিটব্যুরোর সদস্য নুর আহমদ বকুল।
শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলের ২১ দফা দাবিতে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী নির্বাচনকে দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, সামনে কঠিন দিন। আগামী নির্বাচনেই স্থির হবে, আমরা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা টিকিয়ে রাখব, নাকি বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি-লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদী রাজনীতির কাছে দেশকে তুলে দেব। তাই ক্ষমতার মালিক জনগণকে নির্ধারণ করতে হবে, আগামী নির্বাচনে দেশ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাবে, নাকি আবার দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও জঙ্গিবাদের রাজনীতিতে ফিরে যাবে। এই নির্বাচনে যদি অসাম্প্রদায়িক শক্তি হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশ আবার হেরে যাবে। মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
অসাম্প্রদায়িক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে ইতিহাসের উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা উল্টো যাত্রার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছি। অসাম্প্রদায়িক ঐক্য আরও সুদৃঢ় করে তা অব্যাহত রাখতে হবে। এই অগ্রযাত্রা ধ্বংস করতে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদী অপশক্তি কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা বুক চিতিয়ে প্রতিহত করা হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় প্রসঙ্গে মেনন বলেন, অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন- এসব মামলা ও রায়ের মধ্য দিয়ে জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু জিয়া পরিবারের ঐতিহ্যই হচ্ছে, দুর্নীতি-লুটপাট ও বিদেশে অর্থপাচার করা।
বর্তমান সরকারের সময় যুদ্ধাপরাধী ও ২১ আগস্টের খুনিদের বিচারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সরকার বিএনপি-জামায়াতের কলিজায় হাত দিয়েছে। তাই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখতে পারে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য। যারা বলেন এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় তারাই যথেষ্ট- তারা আসলে বিএনপি-জামায়াতের এগিয়ে যাওয়ার পথই খুলে দিচ্ছেন।
শনিবারের এই মহাসমাবেশকে ঘিরে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। সারাদেশ থেকে দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দেন। তারা বিভিন্ন রকম স্লোগানসহ বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে সমাবেশস্থলকে মুখর করে রাখেন। এ উপলক্ষে মহাসমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা লাল পতাকা ও বর্ণাঢ্য সাজে সাজিয়ে তোলা হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় গিয়ে ১৪ দল ও সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই করছে। দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। তবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে অকপটে স্বীকার করছেন তিনি, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িকতার নীতি এখনও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেননি তারা।
মেনন বলেন, এখনও সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে শেষ করতে পারেননি। বরং সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। হেফাজতিদের কাছে নতিস্বীকার করে পাঠ্যপুস্তককে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। যারা শাপলা চত্বরে বসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিল, তারাই আজ অনেকের বন্ধু হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-এমপিদের বেতন বাড়ে। কিন্তু শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর কথা বললেই বলা হয়, বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশে ন্যায্যতাভিত্তিক সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আছে, কিন্তু সমতা নেই। আয়-বৈষম্য আর ধনী-গরিবের বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করছে। দারিদ্র্যসীমা কমলেও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কম নয়। তিন কোটি মানুষকে দরিদ্র রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়া যাবে না। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে উন্নয়নের কারিগর শ্রমিক শ্রেণির ভাগ্যের উন্নয়ন করতে হবে।
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি তথা ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, একদিনের জন্যও যদি আমরা এই ঐক্য থেকে সরে যাই, তাহলে দেখা যাবে আমাদের ওপর কত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চেপে ধরবে। কত সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী হামলা আমাদের ছিন্নভিন্ন করে দেবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করলেও জাতির মুক্তি অর্জিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গরিব মানুষের মুক্তি আজও আসেনি। তাই সামাজিক ন্যায্যতা-সমতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় সঙ্গীত ও আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস, আনিসুর রহমান মল্লিক, নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, ড. সুশান্ত দাস, ইকবাল কবির জাহিদ, হাজেরা সুলতানা, মনোজ সাহা, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, কামরুল আহসান প্রমুখ। পরিচালনা করেন পলিটব্যুরোর সদস্য নুর আহমদ বকুল।