‘বাংলাদেশ খেলবে চাপমুক্ত হয়ে’
• ফাইনালে জয়বার্ধনের ফেবারিট ভারত।
• বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই।
• বাংলাদেশ চাপমুক্ত থাকার সুবিধা পাবে।
• শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য আম্পায়ারদের দায়ী করেছেন জয়বার্ধনে।
মাহেলা জয়াবর্ধনের ফেবারিট ভারত—নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের আগে ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় লেখা এক কলামে তিনি ভারতকে ফাইনালের ফেবারিট বললেও বাংলাদেশকে সুবিধাজনক অবস্থাতেই দেখছেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশ আজকের ফাইনালে পুরোপুরি চাপমুক্ত থেকে খেলাতে পারবে।
বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই বলেই মন্তব্য তাঁর, ‘বাংলাদেশের এই ম্যাচ থেকে পাওয়ার অনেক কিছুই আছে। যেহেতু রাউন্ড রবিন লিগের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরেছে, তাই তারা ফাইনালে আন্ডারডগ হিসেবে খেলাটা উপভোগ করার অবস্থায় আছে। খুব বেশি প্রত্যাশার চাপ তাদের গ্রাস করবে না বলেই মনে হয়।’
সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের মতে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হচ্ছে চাপ জয় করার লড়াই। তবে ব্যাটিং সামর্থ্যে তিনি বাংলাদেশকেই কিছুটা এগিয়ে রাখতে চান, ‘ভারত পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে অনেক এগিয়ে। কিন্তু ব্যাটিংটা ধরলে ব্যাপারটা সমানে-সমান। বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিং অনেক কিছুই করতে পারে। অভিজ্ঞতায় তারা এগিয়ে। তবে দিনের শেষে চাপটা যারা ভালোমতো মোকাবিলা করতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোর সদ্ব্যবহার করার ওপরও অনেক কিছুই নির্ভর করছে।’
শুক্রবারের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের উত্তেজনাকর শেষ ওভারের বিশ্লেষণও উঠে এসেছে তাঁর লেখায়, ‘বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের শেষ ওভারে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেটা এড়ানো যেত। নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে ওই দুটি বল ছিল “নো”। এটা আম্পায়ারদের ভুল। কিন্তু তারা পরিস্থিতির অবনতি ঘটান সবার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। কথা বলেই তারা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারতেন।
কিন্তু তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, বিশেষ করে তারা যেভাবে ম্যাচ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে, সেটা তরুণদের জন্য মোটেও শিক্ষণীয় কিছু নয়। এটা ঠিক যে ম্যাচের ওই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়েরা খুবই আবেগপ্রবণ ছিলেন। কিন্তু খেলার প্রতি তো তাদের একটা দায়িত্ববোধ আছে!’
আজই ধরা দেবে প্রথম শিরোপা?
মাঠে এত ঘটনার পরও পরশু নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছেন। এমন চওড়া হাসিতেই তো মানায় মাহমুদউল্লাহকে। কাল সদলবলে রাতের খাবার খেতে যাওয়ার সময়। ছবি: শামসুল হকস্টেডিয়ামের সামনে টিকিট কাউন্টার আছে। আছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সামনেও। কোথাও তেমন ভিড় নেই। থাকার কথাও অবশ্য নয়। নিজের উৎসবে নিজেই বসে থেকে অন্যের নাচ কেই-বা দেখতে চায়!
নিদাহাস ট্রফিটা তো শ্রীলঙ্কারই উৎসব। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই টুর্নামেন্ট। লঙ্কান শব্দ ‘নিদাহাস’ মানে স্বাধীনতা। যে কারণে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই সবখানে ছিল উদযাপনের ডাক। অথচ উদযাপনের শেষ মঞ্চে শ্রীলঙ্কা শুধুই দর্শক। ফাইনালে আজ ট্রফির জন্য যুদ্ধে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত।
তা উদযাপনের এই ট্রফিতে শেষ হাসিটা কার হবে?
শ্রীলঙ্কার মানুষ কাকে সমর্থন দেবে, কে জানে। হয়তো ভারতের দিকেই সমর্থনটা বেশি থাকবে। বাংলাদেশ যে ফাইনালে উঠল, তা তো তাদেরই বিদায় করে দিয়ে। টুর্নামেন্টে চার ম্যাচের দুটি জিতেছে বাংলাদেশ, দুটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুটি জয়ই আবার রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা উপহার দিয়ে।
একবার শ্রীলঙ্কার ২১৪ টপকানো দুই বল হাতে রেখে। আর দ্বিতীয়টি পরশু মহানাটকীয় ‘সেমিফাইনালে’। ৪ বলে ১২ রানের সমীকরণের নখ কামড়ানো উত্তেজনার মাঝে মাহমুদউল্লাহর ছক্কায় ১ বল হাতে রেখে বাংলাদেশের জয়। শ্রীলঙ্কা স্তব্ধ। একটু ক্ষুব্ধও যেন। শেষ ওভারে নো বল হওয়া-না হওয়া নিয়ে নাটকের মাঝে মাঠে যেভাবে লেগে গেল শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের, ক্ষোভ সেটি নিয়ে। আম্পায়ারদের ভুল এড়িয়ে সবার নজর বাংলাদেশ কেন মাঠে তর্ক করল, সেটি নিয়ে। মুরালিধরনের বলকে নো বল ডাকার প্রতিবাদে অর্জুনা রানাতুঙ্গার মাঠ ছেড়ে যাওয়ার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাখা লঙ্কানদের বিরক্তি সাকিব ওভাবে খেলোয়াড়দের মাঠ ছেড়ে আসতে বললেন কেন, সেটি নিয়ে।
ম্যাচ শেষে সেদিনই অবশ্য সাকিব শ্রীলঙ্কানদের ম্যাচ দেখতে আসার নিমন্ত্রণ দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সে নিমন্ত্রণ কয়জন গ্রহণ করবেন, কে জানে! তা দর্শক আগের দুই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের মতো হাজার দুয়েকই হোক বা ফাইনাল বলে কিছুটা বেশি, তাতে শেষ হাসিটা কার হবে?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই দুই ম্যাচই বাংলাদেশকে নিয়ে আশাটা হয়তো বাড়িয়ে দিয়েছে। সাকিবকে অবশ্য ওসব প্রশ্ন করে একটাই লাভ হলো, দেখা মিলল সংবাদ সম্মেলনে ফুরফুরে মেজাজের সাকিবের। ‘ফাইনালে কী আশা করছেন’ কাল এমন প্রশ্নেও হেসে হেসে বললেন, ‘কী আশা করতে পারি?...আপনি কী আশা করেন, বলুন। সবাই জানি, আমরা কী আশা করছি। কী, জানি না?’
আশা মনে মনেই থাক। বলার কী দরকার! তবে সাকিবদের প্রেরণা হতে পারে রেকর্ড বইয়ের একটা দৈন্য ঘোচানোর আহ্বানও। এর আগে চারবার ফাইনালে খেললেও কখনো যে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে টুর্নামেন্ট তিনটি (এশিয়া কাপ ২০১২, শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ২০০৯ ও ২০১৮-এর দুটি ত্রিদেশীয় সিরিজ)। অন্যটি টি-টোয়েন্টি। দুই বছর আগে সেই এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছিল আবার ভারতের কাছেই।
সেই ভারতকে আজ আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে জ্বালা জুড়ানোর একটা প্রতিজ্ঞা থাকবে? হয়তো থাকবে, কিন্তু খেলার মাঠে ওসব মুখে বলতে নেই। সাকিব যেমন কিছুই বললেন না, ‘এটা আরেকটা ম্যাচের মতোই। যেটাতে আমরা জিততে চাইব, জয়ের জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টা করব।’
আর ভারতের কাছে এই ম্যাচের তাৎপর্য? ভারতের মানুষ তো নাকি বাংলাদেশের কাছে হারই কল্পনা করতে পারে না! কাল সংবাদ সম্মেলনে এসে দিনেশ কার্তিকই জানিয়ে গেলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জিতলে কোনো বাহবা পান না তাঁরা, কিন্তু হারলে সমালোচনা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে যান। এমনকি এই কোহলি-ধোনিহীন দ্বিতীয় সারির ভারত দলের কাছে চাহিদায়ও সেখানে হেরফের হচ্ছে না।
এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারানো তাদের কাছে ডালভাত। দুই দলের এর আগের সাত ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আর কোনো দলের এমন একতরফা রেকর্ড নেই। এই নিদাহাস ট্রফিতেও ভারতের সঙ্গে দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ফিরেছে হারের হতাশা নিয়ে।
এবার বাংলাদেশের হতাশাটা ঘুচবে কি না, কে জানে। ভারতের স্পিন, পেস-বোলিংয়ে সবই ভালো হচ্ছে। ব্যাটিংয়েও কম কী! রোহিত, ধাওয়ান, রায়না...কেউ না কেউ জ্বলে উঠছেন। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর টানা তিন ম্যাচে জয় সে কারণেই।
একটা ‘অসাধ্য’ও সাধন করেছে ভারত। টুর্নামেন্টে আগে ব্যাট করে জেতা একমাত্র দল তারাই-বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে। কিন্তু কথা শুনে সেটি কে বুঝবে? আগে ব্যাটিং, না পরে-প্রশ্নে দুই দলের উত্তরটা শুনুন আগে। একটা উত্তর, ‘পিচের ওপর নির্ভর করবে। পিচ ধীরগতির হলে যারা ভালো বোলিং করবে তারাই জিতবে।’ আরেকটি উত্তর, ‘আগে ব্যাটিং হলে ভালো রান করতে হবে, বোলিং হলে কম রানে আটকে ফেলতে হবে।’ মাথা চুলকাতে হবে না। প্রথম উত্তরটা দিনেশ কার্তিকের। দ্বিতীয়টি সাকিবের। সংবাদ সম্মেলনে এমনই ভারহীন সাকিব।
ম্যাচে বাংলাদেশও তা থাকতে পারলে...কে জানে, চার ফাইনালে চার হারের রেকর্ডটা আজও চারেই থেকে যাবে।
নিদাহাস ট্রফিটা তো শ্রীলঙ্কারই উৎসব। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই টুর্নামেন্ট। লঙ্কান শব্দ ‘নিদাহাস’ মানে স্বাধীনতা। যে কারণে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই সবখানে ছিল উদযাপনের ডাক। অথচ উদযাপনের শেষ মঞ্চে শ্রীলঙ্কা শুধুই দর্শক। ফাইনালে আজ ট্রফির জন্য যুদ্ধে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত।
তা উদযাপনের এই ট্রফিতে শেষ হাসিটা কার হবে?
শ্রীলঙ্কার মানুষ কাকে সমর্থন দেবে, কে জানে। হয়তো ভারতের দিকেই সমর্থনটা বেশি থাকবে। বাংলাদেশ যে ফাইনালে উঠল, তা তো তাদেরই বিদায় করে দিয়ে। টুর্নামেন্টে চার ম্যাচের দুটি জিতেছে বাংলাদেশ, দুটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুটি জয়ই আবার রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা উপহার দিয়ে।
একবার শ্রীলঙ্কার ২১৪ টপকানো দুই বল হাতে রেখে। আর দ্বিতীয়টি পরশু মহানাটকীয় ‘সেমিফাইনালে’। ৪ বলে ১২ রানের সমীকরণের নখ কামড়ানো উত্তেজনার মাঝে মাহমুদউল্লাহর ছক্কায় ১ বল হাতে রেখে বাংলাদেশের জয়। শ্রীলঙ্কা স্তব্ধ। একটু ক্ষুব্ধও যেন। শেষ ওভারে নো বল হওয়া-না হওয়া নিয়ে নাটকের মাঝে মাঠে যেভাবে লেগে গেল শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের, ক্ষোভ সেটি নিয়ে। আম্পায়ারদের ভুল এড়িয়ে সবার নজর বাংলাদেশ কেন মাঠে তর্ক করল, সেটি নিয়ে। মুরালিধরনের বলকে নো বল ডাকার প্রতিবাদে অর্জুনা রানাতুঙ্গার মাঠ ছেড়ে যাওয়ার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাখা লঙ্কানদের বিরক্তি সাকিব ওভাবে খেলোয়াড়দের মাঠ ছেড়ে আসতে বললেন কেন, সেটি নিয়ে।
ম্যাচ শেষে সেদিনই অবশ্য সাকিব শ্রীলঙ্কানদের ম্যাচ দেখতে আসার নিমন্ত্রণ দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সে নিমন্ত্রণ কয়জন গ্রহণ করবেন, কে জানে! তা দর্শক আগের দুই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের মতো হাজার দুয়েকই হোক বা ফাইনাল বলে কিছুটা বেশি, তাতে শেষ হাসিটা কার হবে?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই দুই ম্যাচই বাংলাদেশকে নিয়ে আশাটা হয়তো বাড়িয়ে দিয়েছে। সাকিবকে অবশ্য ওসব প্রশ্ন করে একটাই লাভ হলো, দেখা মিলল সংবাদ সম্মেলনে ফুরফুরে মেজাজের সাকিবের। ‘ফাইনালে কী আশা করছেন’ কাল এমন প্রশ্নেও হেসে হেসে বললেন, ‘কী আশা করতে পারি?...আপনি কী আশা করেন, বলুন। সবাই জানি, আমরা কী আশা করছি। কী, জানি না?’
আশা মনে মনেই থাক। বলার কী দরকার! তবে সাকিবদের প্রেরণা হতে পারে রেকর্ড বইয়ের একটা দৈন্য ঘোচানোর আহ্বানও। এর আগে চারবার ফাইনালে খেললেও কখনো যে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে টুর্নামেন্ট তিনটি (এশিয়া কাপ ২০১২, শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ২০০৯ ও ২০১৮-এর দুটি ত্রিদেশীয় সিরিজ)। অন্যটি টি-টোয়েন্টি। দুই বছর আগে সেই এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছিল আবার ভারতের কাছেই।
সেই ভারতকে আজ আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে জ্বালা জুড়ানোর একটা প্রতিজ্ঞা থাকবে? হয়তো থাকবে, কিন্তু খেলার মাঠে ওসব মুখে বলতে নেই। সাকিব যেমন কিছুই বললেন না, ‘এটা আরেকটা ম্যাচের মতোই। যেটাতে আমরা জিততে চাইব, জয়ের জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টা করব।’
আর ভারতের কাছে এই ম্যাচের তাৎপর্য? ভারতের মানুষ তো নাকি বাংলাদেশের কাছে হারই কল্পনা করতে পারে না! কাল সংবাদ সম্মেলনে এসে দিনেশ কার্তিকই জানিয়ে গেলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জিতলে কোনো বাহবা পান না তাঁরা, কিন্তু হারলে সমালোচনা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে যান। এমনকি এই কোহলি-ধোনিহীন দ্বিতীয় সারির ভারত দলের কাছে চাহিদায়ও সেখানে হেরফের হচ্ছে না।
এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারানো তাদের কাছে ডালভাত। দুই দলের এর আগের সাত ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আর কোনো দলের এমন একতরফা রেকর্ড নেই। এই নিদাহাস ট্রফিতেও ভারতের সঙ্গে দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ফিরেছে হারের হতাশা নিয়ে।
এবার বাংলাদেশের হতাশাটা ঘুচবে কি না, কে জানে। ভারতের স্পিন, পেস-বোলিংয়ে সবই ভালো হচ্ছে। ব্যাটিংয়েও কম কী! রোহিত, ধাওয়ান, রায়না...কেউ না কেউ জ্বলে উঠছেন। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর টানা তিন ম্যাচে জয় সে কারণেই।
একটা ‘অসাধ্য’ও সাধন করেছে ভারত। টুর্নামেন্টে আগে ব্যাট করে জেতা একমাত্র দল তারাই-বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে। কিন্তু কথা শুনে সেটি কে বুঝবে? আগে ব্যাটিং, না পরে-প্রশ্নে দুই দলের উত্তরটা শুনুন আগে। একটা উত্তর, ‘পিচের ওপর নির্ভর করবে। পিচ ধীরগতির হলে যারা ভালো বোলিং করবে তারাই জিতবে।’ আরেকটি উত্তর, ‘আগে ব্যাটিং হলে ভালো রান করতে হবে, বোলিং হলে কম রানে আটকে ফেলতে হবে।’ মাথা চুলকাতে হবে না। প্রথম উত্তরটা দিনেশ কার্তিকের। দ্বিতীয়টি সাকিবের। সংবাদ সম্মেলনে এমনই ভারহীন সাকিব।
ম্যাচে বাংলাদেশও তা থাকতে পারলে...কে জানে, চার ফাইনালে চার হারের রেকর্ডটা আজও চারেই থেকে যাবে।
‘নেপালে চিকিৎসায় ঘাটতি ছিল না’
নেপালে যাওয়া বাংলাদেশি চিকিৎসকেরা বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এখানে কোনো ঘাটতি ছিল না। নেপালের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার সঙ্গেই যথাসম্ভব সেবা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে আসা মেডিকেল দলের সদস্য হোসাইন ইমাম আজ শনিবার প্রথম আলোকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক।
গত সোমবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি। আহত হন ১০ বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁদের সেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল দল পাঠানো হয়।
হোসাইন ইমাম বলেন, ‘এই মেডিকেল দলের সদস্যরা নেপালে আসার পর সমস্ত রোগীকে আমরা দেখেছি। পুরো চিকিৎসাব্যবস্থাকে আমরা আমাদের মতো করে পর্যালোচনা করেছি।’
হোসাইন ইমাম বলেন, ‘নেপালে সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে তারা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে এই রোগীগুলোকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। চিকিৎসাব্যবস্থায় আমার মনে হয় না কোথাও কোনো ঘাটতি রেখেছে। যখন যেটা দরকার, তখনই সেটা করেছে। যে কারণে আহত যেসব রোগী এখানে ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা কিন্তু কেউ খারাপ হননি। তাঁরা একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছেন। এখন পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে।’
নেপালি চিকিৎসক, প্রশাসন ও সরকারকে ধন্যবাদ দেন অধ্যাপক ইমাম। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের একটি অবস্থায় যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, তারা তাদের সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে থেকে তার যথাসম্ভব করার চেষ্টা করেছে।’
আহত বাংলাদেশিদের প্রায় সবাই ছিলেন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর একজন আছেন নরভিক হাসপাতালে। আজ পর্যন্ত মোট পাঁচজন দেশে ফিরে এসেছেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন চারজন বাংলাদেশি আছেন। হোসাইন ইমাম বলেন, ‘এর মধ্যে তিনজনকে আমরা মনে করেছি তাঁরা সাধারণ ফ্লাইটে মেডিকেল সহায়তায় দেশে ফেরত যেতে পারেন। দুজন রোগীর অবস্থা বেশ জটিল। তাঁরা হলেন ইমরানা কবির ও ইয়াকুব আলী। ইমরানার পরিবারের বাবা গতকাল এসেছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠাতে চান তাঁদের পরিবার। আমরাও মনে করেছি তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলেই তাঁকে পাঠানো হবে।’
অন্য এক আহত ইয়াকুব আলী আছেন নরভিক হাসপাতালে। হোসাইন ইমাম বলেন, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তারপরও মাথার বিষয়। তাঁকে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়ে কথা চলছে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে আদেশ রোববার
রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কারণে সংসদীয় আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা প্রশ্নে করা রিটের ওপর রোববার আদেশ দেবেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। এ সংক্রান্ত রিটের ওপর জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে আদেশের এই দিন ধার্য করা হয়।
শনিবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশের এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ দেন।
আদেশে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রশ্নে রুল জারি করেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। রুলে ৭০ অনুচ্ছেদ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। অন্যদিকে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।
পরে ওইদিনই সংশ্নিষ্ট বেঞ্চ থেকে বিকেলে পর্যবেক্ষণসহ প্রধান বিচারপতির দপ্তরে মামলার নথিপত্র পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি রিট আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক বেঞ্চকে বিচারিক এখতিয়ার প্রদান করেন।
এরপর রিটের শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও রিটকারী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদকে অগণতান্ত্রিক দাবি করে তা বাতিলের জন্য গত বছরের ১৭ এপ্রিল হাইকোর্টে এ রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে ৭০ অনুচ্ছেদ একই সংবিধানের অন্যান্য অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে তা বাতিলের জন্যও রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
শনিবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশের এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ দেন।
আদেশে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রশ্নে রুল জারি করেন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। রুলে ৭০ অনুচ্ছেদ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। অন্যদিকে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।
পরে ওইদিনই সংশ্নিষ্ট বেঞ্চ থেকে বিকেলে পর্যবেক্ষণসহ প্রধান বিচারপতির দপ্তরে মামলার নথিপত্র পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতি রিট আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক বেঞ্চকে বিচারিক এখতিয়ার প্রদান করেন।
এরপর রিটের শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও রিটকারী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদকে অগণতান্ত্রিক দাবি করে তা বাতিলের জন্য গত বছরের ১৭ এপ্রিল হাইকোর্টে এ রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে ৭০ অনুচ্ছেদ একই সংবিধানের অন্যান্য অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে তা বাতিলের জন্যও রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
ধানমন্ডি থেকে ৪ ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডি থেকে চারজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের একটি দল। তাঁদের কাছ থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া গেছে।
র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে মোবাইলে পাঠানো এক খুদে বার্তায় বলা হয়, গ্রেপ্তার করা চারজনের মধ্যে ‘ইয়াবা সম্রাট’ আলম রয়েছেন।
এ বিষয়ে বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে মোবাইলে পাঠানো এক খুদে বার্তায় বলা হয়, গ্রেপ্তার করা চারজনের মধ্যে ‘ইয়াবা সম্রাট’ আলম রয়েছেন।
এ বিষয়ে বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
শোক পালন করছে দেশ
নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। এজন্য দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার বাদ জুম্মা দেশের সকল মসজিদে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপসনালয়ে ওইদিন সুবিধামত সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া আহতদের চিকিৎসায় সহায়তার জন্য একটি মেডিকেল টিম (বার্ন ও অর্থপেডিক সমন্বয়ে) শিগগিরই নেপালে পাঠানো এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি টিম পাঠানোরও সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সার্বিক পরিস্থিতি ধৈর্য এবং সাহসের সঙ্গে মোকাবিলার আহ্বান জানান। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্যলাভ কামনা এবং নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
গত সোমবার বিকেলে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
এই দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে একদিন আগেই মঙ্গলবার দেশে ফেরেন।
জাতীয় গণিত উৎসবের উদ্বোধন
রঙিন বেলুন উড়িয়ে ষোড়শ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৮-এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ৯ মার্চ, ২০১৮। ছবি: আশরাফুল আলম
ষোড়শ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৮-এর উদ্বোধন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেট এলাকায় সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে রঙিন বেলুন উড়িয়ে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। কাল শনিবার দুদিনের উৎসব শেষ হবে।
জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের উপাধ্যক্ষ ব্রাদার সুব্রত লিও রোজারিও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন।
এ বছর সারা দেশে মোট ৩৫টি আঞ্চলিক গণিত উৎসব হয়, যাতে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে বাছাই করা ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী আজ এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনের পর প্রাইমারি স্তরে দুই ঘণ্টা, জুনিয়র স্তরে তিন ঘণ্টা, সেকেন্ড ও হায়ার সেকেন্ডারি স্তরের চার ঘণ্টার পরীক্ষা চলছে।
গণিত উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে লিও রোজারিও বলেন, এ গণিত অলিম্পিয়াড বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার একটি প্রয়াস।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘খুদে গণিতবিদদের অভিনন্দন। এবার সবচেয়ে বেশি অঞ্চলে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এর আগে ছয়টি রোপ্য ও ২৪টি ব্রোঞ্জ এনেছে। গত বছর বাংলাদেশ ১১১টি দেশের মধ্যে ২৬তম ছিল। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ভারত, শ্রীলঙ্কা, কানাডা ও জার্মানির চেয়ে গত বছর বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। এসবই প্রমাণ করে কিশোর–কিশোরীদের অগ্রযাত্রা। বিশ্বের মধ্যে এত বড় করে উৎসব বাংলাদেশেই হয়। আমরা দেখতে চাই, বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই যেন বিজয়ী হয়।’
জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন। ৯ মার্চ, ২০১৮। ছবি: আশরাফুল আলমঅনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সহসভাপতি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার নিন্দা জানান প্রথম আলোর সম্পাদক। আগামী গণিত অলিম্পিয়াডে তিনি যেন যোগ দিতে পারেন, এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
গণিত অলিম্পিয়াডের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে। ৪৭ বছর আগে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করত, এটি দেশ হিসেবে টিকে থাকবে কি না। সেই দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হতে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আশা করি দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। এ কথা বলার কারণ, অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি হলো বিজ্ঞান ও গণিত। আন্তর্জাতিক গণিত উৎসবে আমাদের দল এবারো ভালো করবে। সেরা দশে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, ‘আজ তোমরা মেধার যোগ্যতা দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছ। এখান থেকে যোগ্যরা রোমানিয়ায় অংশ নেবে। আমি তোমাদের হাতে স্বর্ণ দেখতে চাই।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গণিত অলিম্পিয়াডের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী। ৯ মার্চ, ২০১৮। ছবি: আশরাফুল আলমউদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। উৎসবে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে ওয়াটার রকেট উৎক্ষেপণ, সাইকেল স্ট্যান্ট, রুবিক কিউব প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব, সিসিমপুর, রম্য বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আকাশ দেখা।
অনুষ্ঠানের আয়োজনে রয়েছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি, পৃষ্ঠপোষকতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্রথম আলো।
ষোড়শ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৮-এর উদ্বোধন হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেট এলাকায় সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে রঙিন বেলুন উড়িয়ে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। কাল শনিবার দুদিনের উৎসব শেষ হবে।
জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের উপাধ্যক্ষ ব্রাদার সুব্রত লিও রোজারিও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন।
এ বছর সারা দেশে মোট ৩৫টি আঞ্চলিক গণিত উৎসব হয়, যাতে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে বাছাই করা ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী আজ এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনের পর প্রাইমারি স্তরে দুই ঘণ্টা, জুনিয়র স্তরে তিন ঘণ্টা, সেকেন্ড ও হায়ার সেকেন্ডারি স্তরের চার ঘণ্টার পরীক্ষা চলছে।
গণিত উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে লিও রোজারিও বলেন, এ গণিত অলিম্পিয়াড বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার একটি প্রয়াস।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘খুদে গণিতবিদদের অভিনন্দন। এবার সবচেয়ে বেশি অঞ্চলে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এর আগে ছয়টি রোপ্য ও ২৪টি ব্রোঞ্জ এনেছে। গত বছর বাংলাদেশ ১১১টি দেশের মধ্যে ২৬তম ছিল। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ভারত, শ্রীলঙ্কা, কানাডা ও জার্মানির চেয়ে গত বছর বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। এসবই প্রমাণ করে কিশোর–কিশোরীদের অগ্রযাত্রা। বিশ্বের মধ্যে এত বড় করে উৎসব বাংলাদেশেই হয়। আমরা দেখতে চাই, বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রেই যেন বিজয়ী হয়।’
জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন। ৯ মার্চ, ২০১৮। ছবি: আশরাফুল আলমঅনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সহসভাপতি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার নিন্দা জানান প্রথম আলোর সম্পাদক। আগামী গণিত অলিম্পিয়াডে তিনি যেন যোগ দিতে পারেন, এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
গণিত অলিম্পিয়াডের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়েছে, এগিয়ে যাচ্ছে। ৪৭ বছর আগে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করত, এটি দেশ হিসেবে টিকে থাকবে কি না। সেই দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হতে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে আশা করি দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। এ কথা বলার কারণ, অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি হলো বিজ্ঞান ও গণিত। আন্তর্জাতিক গণিত উৎসবে আমাদের দল এবারো ভালো করবে। সেরা দশে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, ‘আজ তোমরা মেধার যোগ্যতা দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছ। এখান থেকে যোগ্যরা রোমানিয়ায় অংশ নেবে। আমি তোমাদের হাতে স্বর্ণ দেখতে চাই।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গণিত অলিম্পিয়াডের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী। ৯ মার্চ, ২০১৮। ছবি: আশরাফুল আলমউদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। উৎসবে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে ওয়াটার রকেট উৎক্ষেপণ, সাইকেল স্ট্যান্ট, রুবিক কিউব প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব, সিসিমপুর, রম্য বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আকাশ দেখা।
অনুষ্ঠানের আয়োজনে রয়েছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি, পৃষ্ঠপোষকতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্রথম আলো।
দুই গ্রুপে মারামারির পর রুয়েট ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত
পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হামিদ হলে এ সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
মারামারির ঘটনায় আহতরা হলেন- রুয়েট ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবিদ হাসান মিতুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফি, প্রচার সম্পাদক মাহাথির, ক্রীড়া সম্পাদক রবিন, ছাত্রলীগকর্মী ইমরান ও রাহাত।
এদের মধ্যে রাহাত রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি নাইম রহমান নিবিড়ের অনুসারি আর বাকিরা সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর অনুসারি। সবাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রুয়েটের হামিদ হলে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা।
খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরাও অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নেন।
ওই ছাত্রদের হলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীরা ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন। প্রায় দেড় ঘন্টা চলা ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহত হওয়ায়৬ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই দুই পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে শোডাউন দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধা নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায়ও তারা রুয়েট ক্যাম্পাসে শোডাউন দেন। এসময় উভয় পক্ষেই প্রচুর স্থানীয় বহিরাগত লোকজন ছিলো বলে রুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন জানিয়েছেন। মধ্যরাতে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। তবে কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
সংঘর্ষের পর রাতেই রুয়েট ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।
সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।
এর আগে র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জানুয়ারি রাতে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এতে সভাপতি গ্রুপের ১১ জন নেতাকর্মী আহত হয়। সেই ঘটনাও রুয়েটের হামিদ হলেই ঘটে। সেই ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের হয়ে নেতৃত্ব দেন আবিদ হাসান মিতুল।